আলোচিত শিমলা এবার গুণের ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়ান’ কবিতায়
জুলাই ৭, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অবলম্বনে তৈরী ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ একটি মুক্তিযুদ্ধের কাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র যেখানে গ্রামীণ এক সহজ সরল পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার বঞ্চিত হওয়ার কাহিনী চিত্রায়িত হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেন মাসুদ পথিক।
মুক্তিযুদ্ধ পূববর্তী গ্রামীন কলুষিত রাজনীতি এবং শহুরে রাজনীতির দোলাচাল, প্রেম ও প্রতিবাদের অনুপম কাহিনী স্মৃতির বাস্তবতাকে নাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ছবিতে সর্বপ্রাণবাদী মন ও নিসর্গপ্রেমের চিত্রও বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণের শব্দ ও আবহসংগীতসহ সম্পাদনা শেষ হয়েছে। ছবিটি বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে, আগামী সপ্তাহেই সেন্সরবোর্ডে জমা দেয়া হবে।
চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশিদ, প্রবীর মিত্র, সিমলা, জুয়েল, বাদল শহিদ, নির্মলেন্দু গুণ, অসীম সাহা, রানী সরকার, রেহানা জলি, তারেক মাহমুদ, শেখ শাহেদ, সৈয়দ জুবায়ের, ফারহানা সুচি, সোহেল বয়াতি ও পথশিশুদল ও গ্রামবাসী অন্যান্য।
চলচ্চিত্রের গান পরিচালনা করেছেন প্রিন্স মাহমুদ, মুশফিক লিটু, বেলাল খান, অসীম সাহা প্রমুখ। কণ্ঠ দিয়েছেন মমতাজ, বারী সিদ্দিকী, প্রিয়াংকা গোপ ও বেলাল খান। গীত রচনায় ছিলেন নির্মলেন্দু গুণ, মাসুদ পথিক, অসীম সাহা, সাইম রানা প্রমুখ। আবহসংগীতের যন্ত্রবাদনে মুনিরুজ্জামান, আলমাস আলী, ইউসুফ খান, দৌলত প্রমুখ।
চলচ্চিত্রটির সম্পাদনা, ডাবিং, আবহসংগীত ও সংযোজনের কাজ শেষে এখন শুভমুক্তির অপেক্ষায়। আবহ সংগীত পরিচালনা ও শব্দ সম্পাদনার কাজ করেছেন ড. সাইম রানা।
তিনি বলেন, এই ছবিতে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাদ্য একেকটি চরিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যবহৃত হয়েছে। যেহেতু ছবিটি গ্রাম-বাংলার কাহিনী অবলম্বনে, তাই এখানে দেশীসুর ও রাগ-রাগিণী এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়কার জনপ্রিয় সুরের ছায়া প্রতিধ্বনিত হয়েছে। দেশের প্রথিতযশা বাদ্যযন্ত্র শিল্পীদের সুরের মূর্চ্ছনা সিনেমাটি উপভোগে নতুনমাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়:১৭২০ ঘণ্টা, ০৭ জুলাই, ২০১৩