রাবি শিক্ষক বরখাস্ত, মেয়েদের সথেও প্রতারণা

মে ৩১, ২০১৩

Julfikar_RUঢাকা জার্নাল: এমএলএম কোম্পানির নামে প্রতারণার অভিযোগে এক শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুলফিকার আহম্মদের বিরুদ্ধে মাল্টি লেভেল মাকেটিং কৌশলে গড়া কোম্পানির মাধ্যমে সাতক্ষীরা ও রাজশাহী থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ মিজান উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সভায় জুলফিকার আহম্মদকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সতত্য মেলায় জুলফিকারের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আরো তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ওই কমিটিকে আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আমজাদ।

২০১২ সালে মে মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের ১০৬ ও ১০৭ নম্বর দোকান ভাড়া নিয়ে কোয়া-টাইমেট কোয়ালিটি (ইন্টা.) লিমিটেড নামক একটি কোম্পানি চালু করেন জুলফিকার।
ইন্টারনেটে পিটিসি (পে টু ক্লিক) পদ্ধতিতে ১০ মিনিটে ৫০ ক্লিক করার কথা বলে শিক্ষার্থীদের আইডি খোলা বাবদ প্রতি এক বছর মেয়াদের জন্য ১২ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা নেয়া হয়।

এরপর ৯ জুলাই লোকসানের কথা বলে কোম্পানিটি বন্ধ করে দেন তিনি।

একই প্রক্রিয়া নিজ জেলা সাতক্ষীরায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লিক করলেই টাকা উপার্জন করা যাবে এই প্রলোভন দেখিয়ে কোয়া-ল্যান্সার নামে আরো একটি কোম্পানির মাধ্যমে জুলফিকার কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ আছে।

ঢাকা জার্নাল, মে ৩১, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.