২০ সেকেন্ডেই মোবাইল চার্জ!

মে ২১, ২০১৩

160395076_1352941525ঢাকা জার্নাল:  মাত্র ২০ সেকেন্ডেই মোবাইল চার্জ করা যাবে। এতে নতুন করে ভাবনায় ডুবিয়েছে ১৮ বছরের তরুণী ঈশা খারের উদ্ভাবনা।  ন্যানো ব্যাটারি আবিষ্কার করে আলোচনার শীর্ষে এসেছে এ তরুণী। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

ইন্দো-আমেরিকান ঘরানার এ বিস্ময় বালিকা মাত্র ১৮ বছরেই পেয়েছেন ‘ইয়াং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’।

সব ধরনের মোবাইল ফোনে খুদে চার্জযোগ্য পণ্য তৈরির জন্য ইনটেল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্ডেশন ঈশাকে ৫০ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, যে কোনো চার্জে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ বিরক্তিই ঈশাকে দ্রুত মোবাইল কিংবা অন্য সব ডিজিটাল পণ্য চার্জ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উৎসাহিত করে। আর তাতে ন্যানো প্রযুক্তির ফমূর্লায় সাফল্যেও আসে দ্রুত। রাতারাতি প্রযুক্তি স্টার বনে যান ভারতীয় বংশোভূত আমেরিকান নাগরিক ঈশা।

একে সুপার ক্যাপাসিটর বলে অভিহিত করেছেন ঈশা। প্রচলিত মোবাইল ঘরানার ব্যাটারিগুলো ডিজাইন ভেদে এক থেকে ন্যূনতম দুঘণ্টার আগে পূর্ণাঙ্গ চার্জ গ্রহণ করতে পারে না। এ নিয়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের অন্তহীন অভিযোগ আছে। তবে স্মার্টফোন এবং প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে এখনো খুব বেশি সফল হতে পারেননি।

এরই মধ্যে ঈশার এ উদ্ভাবনা গুগলের উন্নয়ন দলের বিশেষ দৃষ্টিআকর্ষণ করেছে। গুগলের অন্তর্ভুক্তির তালিকায় তাই ঈশার নাম ঠাঁই করে নিয়েছে।

এ বিরল উদ্ভাবনা প্রসঙ্গে ঈশা সাক্ষাৎকারে বলেন, এ পণ্যটি প্রতিটি মোবাইল ফোনের ব্যাটারির এ অংশে জুড়ে দিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ন্যানো পদ্ধতিতে কাজ করবে। এ ব্যাটারির পুরো লাইফ সাইকেল হবে ১০ হাজার গুণ। এর বিপরীতে সাধারণ ব্যাটারির চার্জ সাইকেল এখন মাত্র ১ হাজার।

ন্যানো রসায়ন বিদ্যার পরিপূর্ণ ব্যবহার করেই এ অভূতপূর্ব চার্জেবল ব্যাটারি তৈরি করেছে তরুণী ঈশা। তার মতে, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। আর তাকে জীবিত করতে সব সময়ই সচেষ্ট থাকতে হয়। এটা দুঃচিন্তা এবং বিরক্তির কারণও বটে। তাই মাত্র ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে মোবাইলকে একবার পূর্ণ চার্জ করা গেলে তা সময় আর কাজের গতিকে দ্বিগুণ করে তুলতে পারে।

এ বিশেষ আদলের ন্যানো ব্যাটারি চার্জারে আছে একটি ইন্ডিকেটর লাইট। ফোনটি পরিপূর্ণ চার্জ হওয়া মাত্রই তা ব্যবহারকারীকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সাংকেতিক নির্দেশ দেবে। এ পদ্ধতি সম্পর্কে এমন কথাই জানিয়েচেন ঈশা।

ভবিষ্যতে এ পদ্ধতিতে আরো আধুনিক এবং স্মার্টফোনের সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের আপাতত কোনো সদুত্তর দেয়নি ইশা। তবে প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নে ভোক্তা স্বার্থে এ পদ্ধতিকে যত দ্রুত সম্ভব সাধারণের ব্যবহার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এটি হবে একটি সেন্সেবল (স্বয়ংক্রিয়) রিচার্জ ব্যাটারি।

এ উদ্ভাবনার খবর জানার পর বিশ্বের প্রযুক্তিপ্রেমীরা এখন এর সুফল উপভোগের অপেক্ষায় প্রহর গুণতে শুরু করেছেন। গুগল আর ইনটেলের যৌথউদ্যোগে অচিরেই ঈশা তার এ উদ্ভাবনাকে দ্রুত সাধারণ ভোক্তাদের ব্যবহারযোগ্য করে তুলবেন এটাই সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.