রাতেও উপকূল এলাকা থেকে মানুষজন সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে
মে ১৬, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলবর্তী গ্রামগুলো থেকে রাতেও জনসাধারণকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ খবরে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজারকে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। মংলায় ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি রয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো এই সংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় খেপুপাড়া-টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তারা জানাচ্ছেন টেকনাফ দিয়ে ঢুকে এই ঝড় চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ আটটি জেলার ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন ‘মহাসেন’ চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং ৮টি জেলার নিম্নাঞ্চল এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকা রয়েছে।
তাদের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৫ ফুট বা তারও বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, “ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ বাংলাদেশ উপকূলের আরো নিকটবর্তী হওয়ায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলকর্তী গ্রামগুলোর কয়েকহাজার মানুষকে সরিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি জানিয়েছেন, “চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে পনেরশ’ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে ১৩ লাখ মানুষের স্থান সঙ্কুলানের ব্যবস্থা থাকছে।”
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আরও জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ আটটি জেলার নিম্নাঞ্চলে ও বাঁধের আশপাশের এলাকায় ৪৭ লাখ মানুষের বসতি রয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে তারা প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। সারাদিন মাইকিং করে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া, সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর বুধবার বিকেল থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ পর্যন্ত চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে বাংলাদেশ বিমান ও অন্যান্য বেসরকারি বিমান সংস্থা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ছাড়াও শহরাঞ্চলে বহুতল ভবনগুলোতে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।