১৮ মে থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি

মে ১৪, ২০১৩
image_37830
ঢাকা জার্নাল:  ১৮ মে থেকে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। বিগত বছরের মতো এবারো মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি করা হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই থেকে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ভর্তির আবেদনপত্রের দাম ১২০ টাকা। ভর্তির জন্য ১৮ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন করা যাবে। একই সঙ্গে পুরনো পদ্ধতিতেও আবেদন জমা দেয়া যাবে।

তবে সব কলেজে ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি হলেও ব্যতিক্রম থাকছে নটরডেম কলেজ। গত বছর রাজধানীর নটরডেম কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এবারো প্রতিষ্ঠানটি ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে। বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ফল পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা ১০ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। ১৬ জুন ভর্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ এবং বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি ও টাকা জমা দেয়া যাবে ৩০ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুলাই বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা ও নিবন্ধন ফি বোর্ডে জমা দিতে হবে। তবে বিলম্ব ফিসহ ভর্তি ও টাকা জমা দেয়া যাবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। বিলম্ব ফিসহ ভর্তি শিক্ষার্থীদের তালিকা ও নিবন্ধন ফি আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত বোর্ডে জমা দেয়া যাবে।

নীতিমালা অনুসারে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করে বিলম্ব ফিসহ অন্য কলেজে ভর্তি হতে চাইলে তাকে অভিভাবকের সম্মতিসহ সংশ্লিষ্ট কলেজে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ভর্তির সময় নেয়া অর্থের ৫০ শতাংশ ফেরত দেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দশ বোর্ডের পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১১-২০১৩ সালে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা এবার একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পাবে। বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যে কোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পারবে। ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।

বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় নেয়া হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে।

সাতটি বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

বিভাগীয় শহর ছাড়া অন্য জেলা শহরের কলেজের ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সব বিষয়ের উপর সর্বোচ্চ ৪৩ গ্রেড পয়েন্ট ধরে জিপিএর ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে।

স্কুল ও কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে।

কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফির বেশি নেয়া যাবে না উল্লেখ করে নীতিমালায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ফি নিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.