সাভার ভবন ধস: মৃতের সংখ্যা ১১২৭

মে ১২, ২০১৩

404583_520729087985065_2026420283_nঢাকা জার্নাল: সাভারের বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় মৃতদেহের সংখ্যা রবিবার পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১১২৭ জনে।  জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৪৩৭ জনকে।

২০ তম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ৮০৮টি মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার তৎপরতায় নেতৃত্বদানকারী নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী।

শনিবার এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে  সোহরাওয়ার্দী জানিয়েছেন, রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে সব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা উদ্ধারকাজ অব্যাহত রাখবেন।

এদিকে ভবন ধসের ১৭ দিন পর শুক্রবার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে রেশমা বেগম নামে একজন পোশাক কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, যিনি এখন সুস্থ ও চিকিৎসাধীন আছেন বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন মিঃ সোহরাওয়ার্দী।

উদ্ধার তৎপরতার অন্যতম সম্বন্বয়কারী কর্নেল শায়েকুজ্জামান জানিয়েছেন, উদ্ধার কার্যক্রম সতর্কতার সাথেই চলছে।

তিনি বলেছেন, তারা ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলেও পর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন করছেন যাতে মৃতদেহগুলো অক্ষত উদ্ধার করা যায় এবং জীবিত কেউ থাকলে তাকে অক্ষত বের করে আনা যায়।

তিনি আরো বলেছেন, তারা মাটির তলায় বেসমেন্ট পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন এবং সেখানে থেকে সতর্কতার সঙ্গে স্ল্যাব সরানোর কাজ চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব বেসমেন্টের স্ল্যাব সরানোর কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা আমরা করছি এবং সেখানে অক্সিজেন যাতে পৌঁছতে পারে তার ব্যবস্থা করছি।’

ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধারকাজ চললেও যদি কোন প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এমন চিন্তা মাথায় রেখে এখনো তারা সতর্কতার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভবনটি ধসে পড়ার পর দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ায় উদ্ধার করা অনেক মৃতদেহের অবস্থা এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে যে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তাদের সনাক্ত করার কোন উপায়ই নেই।

মরদেহগুলোর ডিএনএ প্রোফাইল তৈরির দায়িত্বে নিযুক্ত একজন বিশেষজ্ঞ আহমেদ ফেরদৌস বলেন, ‘পুরো বিষয়টি বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’

আহমেদ ফেরদৌস বলেন, “মৃতদেহগুলোর দাঁত সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং সনাক্তকরণের কাজের জন্য আত্মীয়স্বজনের শরীরের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “দাঁত থেকে ক্যালসিয়াম তৈরি করা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাতে প্রায় দু’মাসের মতো সময় লাগবে। আর তারপর রয়েছে তথ্যগুলো কম্পিউটারে মেলানো। মৃত মানুষদের আত্মীয়দের স্যাম্পলগুলোর সাথে তা যাচাই বাছাই করা হবে।”

যেভাবে কাজ এগুচ্ছে তাতে ডিএনএ প্রতিবেদন প্রস্তুত হতে সবমিলিয়ে তিনমাসের মতো লাগতে পারে – বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.