একাদশ শ্রেণীতে ফাঁকা থাকবে তিন লাখ আসন
মে ১১, ২০১৩ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, এসএসসি উত্তীর্ণরাই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে। ১ জুলাই তাদের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। শীঘ্রই ভতির্র নীতিমালা প্রণয়ন করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ প্রদান করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সাধারণ অভিভাবকরা ভুল বুঝে থাকেন। আমাদের কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণীতে যে আসন রয়েছে এতে উত্তীর্ণ সবাইকে ভর্তি করানো সম্ভব। সমস্যা হলো, সবাই ভালো কলেজে ভর্তি হতে চায়। এটা ঠিক যে আমাদের ভালো কলেজের সংখ্যা কম। তাই বলে শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে না তা কিন্তু নয়।
ভর্তির নীতিমালার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভর্তির নীতিমালাটি নিয়ে শীঘ্রই বসব। প্রয়োজন হলে অবশ্যই নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে। জানা গেছে, আগামী জুন থেকে একাদশ শ্রেণীর ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে। এ অবস্থায় কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে_ এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভর্তির বিষয় নির্ধারণ করা হবে। এবার ১০ বোর্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৮ জন। এর মধ্যে আটটি সাধারণ বোর্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯১ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ভর্তির আসন সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। এ বোর্ডে ১ লাখ ৯৭ হাজার ১৯৯ জন দাখিল পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আসন সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৮০। এর বিপরীতে এসএসসি ভোকেশনালে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭১ হাজার ৬৮৮ জন।এ বিষয়ে মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর নূর বলেন, দাখিল পরীক্ষায় যারা পাস করে, তাদের সবাইকে আলিমে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু দাখিলে পাস করার পর অর্ধেকের মতো শিক্ষার্থী কলেজে চলে যায়। তাই মাদ্রাসার সিটগুলো ফাঁকা থেকে যায়। রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লা বোর্ডের চেয়াম্যানরা জানান, ভর্তির সমস্যা হবে না। নামে-বেনামে অনেক কলেজ হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবসায়ীরা ওতপেতে রয়েছে। এসব ব্যবসায়িক কলেজগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। তা ছাড়া এবারও বেশকিছু কলেজ অনুমোদন পেয়েছে। সমস্যা হলো, সবাই ভালো কলেজের দিকে ছোটে।