ইসরায়েলকে বয়কট করলেন স্টিফেন হকিং

মে ৯, ২০১৩

imstfages

ঢাকা জার্নাল- ‘অ্যাকাডেমিক বয়কট অব ইসরায়েল’ এ যোগ দিলেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ তত্ত্বীয় পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে এ বয়কটে অংশগ্রহণ করলেন এই পদার্থবিদ।

এ বছর জুনে প্রেসিডেন্ট সিমন পেরেসের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের একটি আলোচনাসভায় যোগদানের কথা ছিল হকিংয়ের। তবে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও হামলার প্রতিবাদে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী এই পদার্থবিদ ইসরায়েলকে বর্জন করার ঘোষণা দিয়ে আরো অনেক বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে ইসরায়েলকে বয়কট করার এই প্রচারণায় যোগ দিলেন।

৭১ বছর বয়সী বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ হকিং সিমন পেরেসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। তবে পরে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে পেরেসকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখেন। চিঠিতে হকিং লিখেছেন, আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। এ ব্যাপারে দেয়া তার বিবৃতি ব্রিটিশ কমিটি ফর দ্য ইউনিভার্সিটি অব প্যালেস্টাইনে প্রকাশিত হয়েছে।

স্টিফেন হকিংয়ের এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলা ‘অ্যাকাডেমিক বয়কট অব ইসরায়েল’ নামক প্রচারণা একটি বিরাট সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করছেন এই প্রচারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

স্টিফেন হকিং এর আগে চারবার ইসরায়েল সফর করেছেন। ২০০৬ সালে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তেল আবিবের ব্রিটিশ দূতাবাসের আমন্ত্রণে বক্তৃতা দিতে যান হকিং।

তবে এরপর ২০০৯ সালে তিন সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা চালানো হলে স্টিফেন হকিং ওই হামলার কঠোর সমালোচনা করেন।

এদিকে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্সিয়াল কনফারেন্সের চেয়ারম্যন ইসরায়েল মাইমোন বলেন, হকিংয়ের এই সিদ্ধান্ত নীতিবিবর্জিত এবং ভুল। ইসরায়েল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং এখানে প্রত্যেকেই নিজের মতামত রাখতে পারেন। এই ধরনের বর্জনের সিদ্ধান্ত খোলামেলা গণতান্ত্রিক আলোচনার পরিবেশের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.