সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

মে ৪, ২০১৩

warplane-sm2320130504004916ঢাকা জার্নাল: ইসরায়েলর সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমগুলো। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানান, সম্ভবত একটি অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে।

কেউ কেউ দাবি করেছেন, ওই অস্ত্রাগার থেকে লেবাননের হেজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল। তবে সিরিয়া বা ইসরায়েল কেউ হামলার বিষয়টি জানায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতি বা শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু যুদ্ধবিমানটি সিরিয়ার আকাশ সীমায় প্রবেশ করেনি।

ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের দূতাবাসের এক মুখপাত্র এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
তবে রয়টার্সকে ওই মুখপাত্র জানিয়েছে, আমরা যেটি বলতে পারি যে রাসায়ণিক অস্ত্র বা সিরিয়ার সরকারের কাছ থেকে সন্ত্রাসীদের বিশেষ করে লেবাননের হেজবুল্লাহর কাছে অন্য যুদ্ধ-পরিবর্তনকারী (গেম চেঞ্জার) অস্ত্র হস্তান্তর রুখতে বদ্ধপরিকর ইসরায়েল।”

জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তিনি তার দেশে ইসরায়েলি হামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না।
এদিকে লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা লেবাননের সেনাবাহিনীর প্রজ্ঞাপনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শুক্রবার লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে রামেইশ শহরের ওপর চক্কর দিয়েছে।

সংবাদ সংস্থাটির দাবি, শত্রুর যুদ্ধবিমান লেবাননের সব অঞ্চল বৃত্তাকারভাবে ঘুরেছে এবং এরপরে চলে গেছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালোন স্বীকার করেন, ইসরায়েলে সিরিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
হেজবুল্লাহর মতো চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর কাছে যুদ্ধাস্ত্র দেওয়া ইসরায়েলের জন্য ‘চূড়ান্ত সীমা’ (রেড লাইন) এবং এ সীমা অতিক্রম করলেই এর জবাব দেবে ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যেমন কাতার ও সৌদি আরব সিরিয়অর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরতদের অস্ত্র সরবরাহ করছে। সম্প্রতি ক্ষতিকর সারিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠার পর থেকে সিরিয়ার সরকারের ওপর চাপ বেড়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানিয়েছেন, সিরিয়ায় রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তিনি সিরিয়ায় মার্কিন সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি ভাবছেন না।

কোস্টারিকায় সফরের সময় ওবামা বলেন, “স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে সিরিয়ার সরকার রাসায়ণিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে যা ‘যুদ্ধের পরিবর্তনকারী’ হবে তবে তাড়াহুড়ো করে কোনো জবাব নয়।”

২০১১ সালের মার্চে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় ৭০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, মে ০৪, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.