ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন

আগস্ট ২০, ২০২৩

গত বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে লিড নিয়েও দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে গোল হজম করে স্পেন। ইংল্যান্ড ম্যাচ নেয় অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল স্পেন। এক বছর পর প্রতিশোধের সুযোগ হাতছাড়া করেনি তারা। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ১-০ গোলে ইংলিশদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো স্পেন।

 

১৬ মিনিটে ইংল্যান্ডের লরেন হেম্প বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শট নেন, বল লাগে ক্রসবারে। ম্যাচ আধঘণ্টা ছোঁয়ার ঠিক আগে প্রথম গোল হয়, করে স্পেন।

ব্রোঞ্জ পা থেকে বল হারালে পেয়ে যান ভিলদা, তার বাড়ানো ক্রসে মারিয়ানো কালদেনতির ছোট পাস ধরে গোল করেন ওলগা কারমোনা। ২৯ মিনিটে লিড পায় স্পেন। ২৩ বছর ৬৯ দিন বয়সে গোল করে কারমোনা মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালের চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হন এবং ২০২২ সালে অ্যালেক্স মর্গানের পর সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা।

বিরতির ঠিক আগে সালমা পারালুয়েলো ডানদিকের পোস্টে আঘাত করেন। নয়তো ২-০ গোলে এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করতে পারতো স্পেন।

 

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে স্পেনকে এগিয়ে যেতে দেননি ইংলিশ গোলকিপার ইয়ার্পস। দুর্দান্ত সেভে কালদেন্তিকে রুখে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর হেম্প গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বল মেরে ইংল্যান্ডকে হতাশ করেন।

স্পেন ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে। ৬৪ মিনিটে তারা বক্সের মধ্যে ওয়ালশের হ্যান্ডবলের আবেদন করে।

ভিএআরে চার মিনিট পর পেনাল্টির রায় দেন রেফারি। জেনিফার হারমোসো নেন পেনাল্টি কিক। তার শটের গতিপথ ঠিক বুঝতে পেরে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বল ঠেকান ইয়ার্পস।

৯০ মিনিট পর্যন্ত স্পেনই এগিয়ে ছিল। ইংল্যান্ড বেশ সময় পায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার। কারণ ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় ১৩ মিনিট। তবে ভাগ্য পাল্টাতে পারেনি ইংল্যান্ড। একেবারে শেষ দিকে দারুণ ডিফেন্ডিং নৈপুণ্যে তাদের খেলোয়াড় মিলি ব্রাইটের প্রচেষ্টা রুখে দেয় স্পেন। তারপরই কর্নার পায় ইংলিশরা, তাদের সমতা ফেরানোর শেষ সুযোগ নষ্ট করে দেন স্প্যানিশ কিপার কাতা কোল। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি বাঁশান বাজি, প্রথমবার বিশ্ব জয়ের উদযাপনে মেতে ওঠে স্পেন। জার্মানির পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ছেলে ও মেয়ে দুটো বিশ্বকাপেই চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।