জাতীয়করণের ঘোষণা না এলে আমরণ অনশনে যাবেন শিক্ষকরা

জুলাই ২২, ২০২৩

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ বলেছেন, ‘শিক্ষামন্ত্রণালয় আমাদের অভিভাবক। শিক্ষামন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় আমাদের বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি। আসলে তারা বিষয়টি সমাধান করতেও চায় না। তাই আমাদের শেষ ভরসাস্থল প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হতে চাই। প্রধানমন্ত্রী পাঁচ মিনিট সময় দিলে আমাদের দাবির বিষয়টি বুঝাতে পারব। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সময় দিবেন কিংবা সুস্পষ্ট আশ্বাস দিবেন।’

জাতীয়করণের সুস্পষ্ট সমাধান না পেলে আমরণ অনশনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিকালে আমাদের বৈঠক আছে। সেখানে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিব। প্রয়োজনে আমরণ অনশনে যাব।’ শনিবার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তাদের অভিভাবক, তাই প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষাৎ কিংবা জাতীয়করণের বিষয়ে সুস্পষ্ট আশ্বাস না পেলে তারা আমরণ অনশনে যাবেন। সরকারিকরণের দাবি পূরণের ঘোষণা না দিলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ না পেলে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবেন না।

বিটিএ এর সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়। সহকারি প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।’

বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১২ দিন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হলেও জাতীয় করণের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট সমাধান হয়নি। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত চান। কিন্তু এখনো সাক্ষাতের সময় পাননি।