ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে স্কুলছাত্রীকে হত্যায় যাবজ্জীবন

জুন ২১, ২০২৩

খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২১ জুন) খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিউর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি নিখোঁজ হয় ওই স্কুলছাত্রী। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা নিকটস্থ স্বজনের বাড়িতে তার খোঁজ নিয়ে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরে তারা মামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ একই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। নিখোঁজের ছয় দিন পর ওই ছাত্রীর মরদেহ একটি বাড়ির নিচ তলার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতমকে গ্রেফতার করে। হত্যাকণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।

একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান প্রীতমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক এবং পিপি আহদুজ্জামান ও সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ।

মামলার বাদী বলেন, ‘প্রীতমের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা ছিল। এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাদীকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে হাইকোর্টে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’