জামিন পেলেন ইমরান খান

মে ১২, ২০২৩

ইমরান খানকে জামিন দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। শুক্রবার (১২ মে) আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পুনরায় শুনানি শুরু হওয়ার পরপরই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানকে দুই সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করা হয়।

আদালতে বিচার চলার সময় ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়, তবে পাকিস্তানজুড়ে অস্থিরতা শুরু হতে পারে। এ বিষয়টিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কও করেছেন।

ইমরান খানের জামিনের বিষয়ে শুনানি করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাদের হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানের গ্রেপ্তার “অবৈধ এবং বেআইনি” বলে ঘোষণা করার এক দিন পরে এ শুনানি শুরু হয়।

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এ ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজ। ডন নিউজ টিভি জানিয়েছে যে ইমরানের আইনজীবীরা চারটি অতিরিক্ত অনুরোধ করেছেন। যাতে রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা একত্রিত করার বিষয়টি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলাগুলোর বিশদ বিবরণ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়ার জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে অনুরোধ করেছিল তারা।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় দুই ঘন্টা বিলম্বের পর আদালতে শুনানি শুরু হয়। ওই সময় আদালতের বাইরে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করছিলেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। কিন্তু জুমার নামাজের কারণে দুপুর ১টায় আদালত সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়। ওই সময় নামাজের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারক আদালতের কক্ষ ছেড়ে চলে যান। তখন আদালত প্রাঙ্গণে ইমরান খানের পক্ষে স্লোগান দেয়া শুরু করেন তার সমর্থকরা।

দুপুর আড়াইটার পর আবার শুনানি শুরু হলে ইমরান খান তার আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তার প্রধান আইনজীবী খাজা হারিস যুক্তি উপস্থাপন করেন। হারিস আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন যে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) পদক্ষেপগুলো বেআইনি। তিনি বলেছিলেন, কোনো অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তে পরিণত হওয়ার পরেই এনএবি কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে।

হারিস বলেন, পিটিআই জানতে পেরেছে যে এনএবি আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে ইমরানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, পিটিআই প্রধান ইমরান খান ওই তদন্তের বিষয়ে এনএবির রিপোর্ট চেয়ে ৯ মে তারিখে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের কক্ষে প্রবেশ করার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

শুনানির এক পর্যায়ে, আদালত জামিন আবেদনকারীকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তাকে মামলার বিষয়ে একটি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে কিনা, তার জবাবে হারিস নেতিবাচক উত্তর দেন।

তিনি বলেছিলেন, ইমরানকে কল-আপ নোটিশ জারি করা হয়েছিল যার জন্য তিনি উপস্থিত হননি বরং একটি লিখিত উত্তর জমা দিয়েছেন। হারিস আরও বলেছিলেন, জবাবদিহিতা পর্যবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ (এনএবি) ওই মুহুর্তে “পক্ষপাতদুষ্ট” ছিল।

এরপর আদালত ইমরানের জামিনের আবেদন গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য এনএবি প্রসিকিউটর জেনারেল আর ইমরানের আইনজীবীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

সূত্র : ডন, জিও নিউজ