চাঁদপুরে প্রস্তুত ৩৫৩ সাইক্লোন শেল্টার, চলছে মাইকিং

মে ১২, ২০২৩

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় মোখার আঘাত পূর্ববর্তী এবং পরবর্তীতে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় চাঁদপুরে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫৩টি সাইক্লোন শেল্টার। সেইসঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর সর্বসাধারণকে সতর্ক করতে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ মে) সকালে এসব তথ্য জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভা হয়েছে। জেলায় ৩৫৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে মানুষজন আশ্রয় নিতে পারেন। খাবার, মেডিক্যাল টিম ও নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

পাশাপাশি জেলার তিন নদীর মোহনা, বেদেপল্লি, মাছঘাট, জেলেপল্লি, লঞ্চঘাট ও যাত্রীবাহী লঞ্চসহ বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস।

কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন থেকে জানানো হয়, কোস্টগার্ড ঢাকা জোন কর্তৃক দুর্যোগকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে যেকোনো বিষয়ে এই (০১৭৬৯-৪৪০৩৩৩) নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারি বলেন, আমদের ইউনিয়ন পদ্মা-মেঘনার পাশে। চরাঞ্চল হওয়ায় ইতোমধ্যে ইউপি সদস্যসহ প্রত্যেক এলাকার লোকদেরকে সতর্ক থাকার জন্য বলেছি।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ভার্চুয়াল সভা থেকে যেসব নির্দেশনা পেয়েছি। সেসব নিদের্শনার আলোকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। নদী তীরবর্তী ও উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে মাইকিং করা হয়েছে। আরও প্রচারণা চালানো হবে। আমাদের সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।

এদিকে, মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল মোখা। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।