শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।

আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন—মুহতাসিম ফুয়াদ, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, আকাশ হোসেন, অমিত সাহা ও মোয়াজ আবু হুরায়রা। এদের মধ্যে মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় বিচারক এজলাসে এসেই রায় পড়া শুরু করেন। এর আগে সকাল ১১টা ৪২ মিনিটে এ হত্যা মামলার ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের হাজির করা হয় আদালতে। এরপর আদালতের হাজত খানায় রাখা হয় আসামীদের। মামলার ২৫ জন আসামির মধ্যে তিন জন পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এদের বিরুদ্ধে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।