চলে গেলেন অভিনেতা আবদুল কাদের

ডিসেম্বর ২৬, ২০২০

‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বদি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা আবদুল কাদের। এরপর ‘বদি ভাই’ হয়েই মানুষের মাঝে ছিলেন। কিন্তু আজ (২৬ ডিসেম্বর) সবাইকে বিদায় না বলেই চলে গেলেন পরপারে।

মারা গেছেন প্রশংসিত অভিনেতা আবদুল কাদের। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা ও সংগঠক শহীদুল আলম সাচ্চু।

তিনি বলেন, ‘সকালবেলাই ঘুম থেকে উঠে এ সংবাদ পেলাম। আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম ফোন করে দুঃসংবাদটি দিয়েছেন। আপাতত মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালেই আছে।’

গত ১৫ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে এই অভিনেতার ক্যানসার ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে কেমোথেরাপি দিতে পারেননি। ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অভিনেতাকে ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে হঠাৎ এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।

আবদুল কাদের নাটক, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র—তিন মাধ্যমেই জনপ্রিয়। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন।

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে বদি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছিলেন কাদের। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাট্যশিল্পী ও নাট্যকারদের একমাত্র সংগঠন টেলিভিশন নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার সংসদ টেনাশিনাসের সহসভাপতি। আবদুল কাদের নাটকের দল থিয়েটারের সদস্য। দলটির ৩০টি প্রযোজনায় এক হাজারের বেশি প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন তিনি। মঞ্চে তিনি অভিনয় করেছেন ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনো ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’ নাটকগুলোয়। আবদুল কাদের বাটা বাংলাদেশের সাবেক কর্মকর্তা।