আজ শনিবার হুময়ায়ূন আহমেদ ও শাওনের বিবাহ বার্ষিকী

ডিসেম্বর ১২, ২০২০

আজ ১২ ডিসেম্বর হ‌ুমায়ূন আহমেদ আর শাওনের বিবাহবার্ষিকী। ২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বর কথা সাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদ ও অভিনয় শিল্পী শাওন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৪ সালের এই দিনে কুসুম (‘শ্রাবণ মেঘের দিনে’ ছবিতে শাওনের চরিত্রের নাম) আর হ‌ুমায়ূন নতুন জীবন শুরু করে।

শাওন শনিবার (১২ ডিসেম্বর) তার ফেসবুকে এটি ছবি পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘ছবির কারিগর মাজাহারুল ইসলাম।’ সেখানে আরও লিখেছেন, “বেঁধেছি আমার প্রাণ। ’

নিজের বিয়ের আগের দিনের গল্প বলতে গিয়ে শাওন লিখেছেন, ‘১১ ডিসেম্বর হ‌ুমায়ূন আমাকে জোর করে পাঠালেন নিউমার্কেটে, উদ্দেশ্য একটা হলুদ শাড়ি কিনে আনা, যেন সন্ধ্যায় আমি হলুদ শাড়ি পড়ে নিজের গায়ে একটু হলুদ মাখি। বললেন, “তোমার নিশ্চয়ই বিয়ে নিয়ে, গায়েহলুদ নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। আমাকে বিয়ে করার কারণে কোনোটাই পূরণ হচ্ছে না। আমি খুবই লজ্জিত। তারপরও আমি চাই, আজ সন্ধ্যায় তুমি হলুদ শাড়ি পরে ফুল দিয়ে সাজবে, নিজের জন্য, তোমার ভবিষ্যৎ সন্তানের জন্য, আমার জন্য। আমরা দুজন মিলে আজ গায়েহলুদ করব।” আমি একা একা শাড়ি কিনেছি। গাঁদা ফুলের মালা কিনেছি। কী মনে করে একটা লাল পাঞ্জাবিও কিনেছি।’

শাওন আরও লিখেছেন, ‘সন্ধ্যায় নিজে নিজে সেজেছি। বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে আমার চোখ ফেটে পানি চলে আসে। চোখ মুছে খোঁপায়-কানে গাঁদা ফুলের মালা গুঁজেছি। হঠাৎ শুনি দরজায় ধুমধাম শব্দ। দরজা খুলে বেরিয়ে দেখি ডালা কুলো হাতে মাজহার ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবি, পাশে তিন বছরের ছোট্ট অমিয়, একটু দূরে লাল পাঞ্জাবি পরে হ‌ুমায়ূন ঠোঁট টিপে হাসছেন। হইহই করে ঘরে ঢুকলেন হ‌ুমায়ূনের আরও বন্ধু আর তাঁদের স্ত্রীরা। তাঁরা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যান পাশের রুমে।’

সেদিন যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের কথা মনে করে শাওন লিখেছেন, ‘চার-পাঁচটা প্রদীপ দিয়ে সাজানো ছোট্ট একটি রুমের পাশ। সেখানে হলুদের কী স্নিগ্ধ ছিমছাম আয়োজন! লেখক মইনুল আহসান সাবের ভাইয়ের স্ত্রী কেয়া ভাবি আর মাজহার (প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম) ভাইয়ের স্ত্রী স্বর্ণা ভাবি আমার আর হ‌ুমায়ূনের হাতে রাখি পরালেন। সে কী খুনসুটি! সে কী আহ্লাদ! সে এক অন্য রকম গায়েহলুদ। আরেক ভাবি নামিরা সব মেয়ের হাতে মেহেদি দিয়ে দেন। আমার আর হ‌ুমায়ূনের দুই গাল কাঁচা হলুদে রাঙা।’