সচেতনতাই বাঁচিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা

এপ্রিল ২০, ২০২০

সবাকেই সচেতন হতে হবে, সুবুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। যে, যেভাবে খুশি কার্যক্রম চালালে আমরা এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারবো না। এই ভাইরাস নামক প্রাণঘাতক জীবানু আরো অনেক আপনজন কেড়ে নেবে। কে কোথায় থাকবো তার আগামী কেউ জানি না। সুতরাং স্বার্থপরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারের নিয়ম শৃঙ্খলা নিজের দায়িত্ব দিয়ে পালন করতে হবে। আমাদের সকলের উচিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

  • বিউটি সাহা

গত জানুয়ারি থেকে আমাদের অনেক আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমরা আজ অদৃশ্য শত্রু কবলিত। প্রাণঘাতী এক ভাইরাসের আক্রমণে জর্জরিত পৃথিবীর সকল মানুষ।অজানা ভয় আমাদের সকলের অন্তরে।

মাননীয় প্রধামন্ত্রী যে কথাগুলো বলেছেন তা যদি আমরা পালন করি, তাহলে হয়তো এই আতঙ্ক আমাদের মধ্যে দীর্ঘায়িত হবে না।সরকারি দপ্তর থেকে অনেক সাহায্য সহানুভূতি প্রদান করছেন। কিন্তু সবকিছু কারো একার পক্ষে পরিপূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।

সবাকেই সচেতনতন হতে হবে, সুবুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। যে, যেভাবে খুশি কার্যক্রম চালালে আমরা এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারবো না। এই ভাইরাস নামক প্রাণঘাতক জীবানু আরো অনেক আপনজন কেড়ে নেবে। কে কোথায় থাকবো তার আগামী কেউ জানি না। সুতরাং স্বার্থপরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারের নিয়ম শৃঙ্খলা নিজের দায়িত্ব দিয়ে পালন করতে হবে। আমাদের সকলের উচিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

 আজ খবরের কাগজে মুকসুদপুর থানার একটা হেডলাইন দেখে খুব খারাপ লাগছে। মুকসুদপুর থানার বেশিরভাগ পুলিশ কর্মকর্তা কোভিট -১৯ ভাইরাস পজিটিভ। এটা মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে।দিনরাত এক করে আমাদের সুরক্ষা দেওয়া সৈন্যরাই যদি এভাবে  মহাবির্পজয়ের মধ্যে পড়ে। তাহলে অদুর ভবিষ্যতে এলাকায় কিছু সুবিধালোভী মানুষ সুযোগ সন্ধানী হয়ে যাবে।

গ্রামের সবার প্রতি আকুল আবেদন সচেতেনতার থেকে বড় কিছু নাই।একান্ত খুব বড় প্রয়োজন ছাড়া আমরা আমাদের ঘরের বাইরে না যাই।সকল আপনজনদের খবরাখবর আমরা আপাততঃ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়া নেওয়া করি।

আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে সোচ্চার থাকি।মন খারাপের অজুহাতে চুপচাপ বসে না থেকে বা যাই একটু ঘুরে আসি মন ভালো হয়ে যাবে।কতদিন বাড়ির বাইরে খোলা আকাশ দেখিনা, দেখে আসি। এমন ভাবনা থেকে আপাততঃ একটু সচেতন হই।আসুন না কিছুদিন আমরা আমাদের পরিবারের সাথে মন খুলে কথা বলি। এমনকিছু করি যাতে আমার বাবা, মা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য যারা আছে তারা অন্তরের অন্তস্থল থেকে প্রানখুলে হাসতে পারে।দেখবেন কত ভালোলাগা কাজ করে।একটু কথা বলে,একটু আন্তরিক হয়ে দেখেন পরিবারের এই হাস্যজ্জোল অনুভূতির অন্যতম সুখ এনে দিবে।  আমার মনে হয় বাইরে যাওয়ার কথা একটু হলেও ভুলিয়ে দেবে।কিংবা আরো অনেক কাজ করতে পারি যেমন আমরা আমাদের বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারি।ঘরের যে কাজ গুলো কোন সাহায্যকারী ছাড়া হচ্ছে না, সেগুলো নিজে করার চেষ্টা করতে পারি।এগুলোর মাঝেই আমরা আমদের আগামীকে সুন্দর করে পেতে পারি।

সচেতনতাই পারে আমাদের নতুন স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে।আজ আমার বেখেয়ালের দ্বারা যদি আমি আক্রান্ত হই বা আমার মৃত্যু হয় তাহলে কী হবে বলুন?  আমিতো মৃত্যু নামক চিরশান্তির কাছে চলে যাব। কিন্তু আমার পরিবার আমার মা-বাবা, ভাই-বোন ওরা কেমন করে থাকবে?এমনকি, আমার দ্বারা আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও যদি আক্রান্ত হয় কে দেখবে ওদের?এই মৃত্যুতে কোনও আপনজন পাশে থাকবে না। কে কীভাবে সৎকার/দাফন হবো তা জানি না।আপনি বা আপনারা চান এমন মৃত্যু? আমি এমন মৃত্যু চাই না। আমি চাই আমার আপনার মাঝে বেঁচে থাকতে আমি চাই আমার মৃত্যুর পর পরিপূর্ণ মর্যাদায় সৎকার বা দাফন  হতে।

আসুন আমরা সবাই সচেতেনতা বজায় রেখে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন থাকি।পরিমিত এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ করি।আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যয় করি।আমাদের আশপাশে কোনো অভুক্ত, বঞ্চিত মানুষের পাশে এসে দাঁড়াই।অতিরিক্ত বিলাসিতাপূর্ণ জীবন-যাপন ত্যাগ করে, মিতব্যয়ী হয়ে নিজের দায়িত্বে অভুক্ত মানুষ এবং গৃহপালিত পশু-পাখির  খেয়াল রাখি।

সবশেষে পরম করুনাময়, যিনি আমাদের ত্রানকর্তা তাঁর কাছে করুনা ভিক্ষা করি।তিনি যেন আমাদের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দেন।আমাদের মুক্তিদান করেন এই ভয়াবহতার কালো অন্ধকার থেকে। তিনি যেন পরম মমতায় আমাদের সকলের প্রার্থনা মঞ্জুর করেন।

বিউটি সাহা, ব্রান্ড অফিসার, শাহ্ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড