ওবায়দুল কাদেরের দামি ঘড়ি: কেন রাষ্ট্রীয় তোষাখানায় নয়: টিআইবি

জানুয়ারি ১০, ২০২০

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের দামি ঘড়ির আলোচিত সংগ্রহের ব্যাখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অপর্যাপ্ত বিবেচনা করে এসব সামগ্রী কেন যথানিয়মে ও যথাসময়ে রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা দেওয়া হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশবাসীকে বিষয়টি জানানোর আহ্বান জানিয়েছে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

একইসঙ্গে  এ ধরনের উপহার কী ঘড়িতেই সীমাবদ্ধ? নাকি এরকম সংগ্রহ কী শুধু সড়ক ও সেতু মন্ত্রীরই, না কী এর সরূপ ও বিস্তৃতি আরও ব্যাপক ও গভীর? তা খতিয়ে দেখে দেশবাসীকে জানাবার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

শক্রবার (১০ জানুয়ারি) দেওয়া এক বিবৃতিতে টিআইবির এ প্রশ্ন তোলে।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের বিলাস বহুল ঘড়ির সংগ্রহ সম্পর্কে গতকাল (৯ জানুয়ারি ২০২০) সচিবালয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা প্রশ্নবিদ্ধ, ও পর্যাপ্ত নয়, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেভাবেই তিনি উপহারগুলো পেয়ে থাকুন না কেন ২০১২ সালের জুনে হালনাগাদকৃত তোশাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী উপহারসমূহ যথাসময়ে তোশাখানায় জমা দেওয়া হলো না কেন? জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত যেহেতু তিনি নিয়েছেন সেহেতু সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসরণ করে উপহার প্রাপ্ত বস্তুর প্রকৃত মূল্য অনুযায়ী অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে কী না? এ ধরনের প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।’ 

সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক অবস্থানে থেকে তিনি কি অন্যদের স্থাপিত দৃষ্টান্ত অনুসরণ করলেন, না কী অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন? এরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া অমূলক না বলে মন্তব্য করেন ড. জামান।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে, মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন যে, ঠিকাদারগণ নির্বাচনের সময়  ‘একটা এমাউন্ট” দিতে চেয়েছিলো, যা তিনি গ্রহণ করেননি। তার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে সেসকল ঠিকাদারদের এধরনের অনৈতিকতা ও দুর্নীতির চর্চা প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কাউকে কী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? না কী কমপক্ষে জনস্বার্থে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে? জানতে চায় টিআইবি।”

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উদযান কার্যক্রমের শুরুর লগ্নে স্মরণ করা অযৌক্তিক হবে না, যে তোশাখানা বিধি জাতির পিতার নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক প্রণীত হয়েছিলো, বর্তমান সরকারের আমলে হালনাগাদ হয়েছে, আর নভেম্বর ২০১৮ সালে  তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়েছিলো।’