তথ্য চুরির ঝুঁকিতে অ্যান্ড্রয়েডে ১ কোটি ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহারকারী

নভেম্বর ২৮, ২০১৯

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ফেসবুক ও টুইটারে প্রায় এক কোটি ব্যবহারকারী তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে নামানো অনেক অ্যাপ এই ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। সেই অ্যাপ ব্যবহার করে হ্যাকাররা চুরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।

গত বছর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হয়ে কেমব্রিজ অ্যানালাইটিক নামের প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেবার একজন গবেষককে ব্যবহারকারীদের তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। কিন্তু ওই গবেষকের সূত্রে ব্যবহারকারীদের তথ্য চলে যায় কেমব্রিজ অ্যানালাইটিকের কাছে। অভিযোগ ওঠে, ডানপন্থী পত্রিকা ব্রেইটবার্টের প্রধান ও পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান পরিকল্পনাবিদ স্টিভ ব্যানন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত। তিনি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করে ২০১৬ সালের নির্বাচন প্রভাবিত করেছেন। কেমব্রিজ অ্যানালাইটিকে কাজ করা সাবেক একজন কর্মী এসব তথ্য ফাঁস করে দেন। পরবর্তীতে এর জেরে ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে কংগ্রেসে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়।

এনগ্যাজেট ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটার ও ফেসবুকের প্রায় ১ কোটি ব্যবহারকারী দুটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট (এসডিকে) ব্যবহার করায় তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে এক ব্লগ পোস্টে টুইটারও জানায়, এসডিকে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যুক্ত হলে তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

বিখ্যাত মার্কিন টেক সাময়িকী ইনক জানায়, যদি অ্যান্ড্রয়েডে এমন এসডিকে সফটওয়ার নামানো হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি ব্যবহার করে সেগুলোতে কেউ যুক্ত হলে তাদের নাম, ইমেইল, লিঙ্গ এমন কোথাও সরবরাহ করা হবে যা তারা চাননি।

টুইটার ও ফেসবুক উভয় কোম্পানিই জানিয়েছে তারা ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবে। আইওএস ব্যবহারকারীরা এমন ঝুকির ম্যেধ পড়েননি।

সিএনবিসি জানায়, জায়ান্ট স্কয়ার ও ফটোফির মতো ছবি সম্পাদনার অ্যাপে এই ত্রুটি পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুক বা টুইটারের মাধ্যমে যুক্ত হতে হয়তো আপনার সময় কম লাগে। কিন্তু এভাবে যুক্ত হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।