‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর থেকে’ চাঁদা দাবি

অক্টোবর ২৯, ২০১৯

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে স্থানীয়দের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও সুপারের কাছে এ চাঁদা দাবি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনও তার মোবাইল নম্বর ক্লোন করা হয়েছে জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিষয়টি তিনি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

বেতিল বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান জানান, সকালে মোবাইল ফোনে ‘দেওয়ান মওদুদ আহমেদ নামে চৌহালীর ইউএনও’ পরিচয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায়ের খোঁজ নেওয়া হয়। নিয়মিত বার্ষিক আয়-ব্যয়ের অডিট সম্পন্ন হয়েছে কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়। পরে ফোনকারী একটি ল্যাপটপ দাবি করেন। ‘কী মডেলের ল্যাপটপ বা কখন লাগবে’, বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরক্ষণে একই নম্বরে ফোন দিলে ইউএনও নিজে ফোন ধরেন। তবে তিনি কোনও ধরনের ফোন করা বা ল্যাপটপ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এরপরই নিজের নম্বরটি ক্লোন হয়েছে জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতর্কতামূলক পোস্ট করেন তিনি।

চৌহালী থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, ফোন ক্লোন হওয়ার বিষয়টি জানালেও, ইউএনও কোনও লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাসিবুল্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

চৌহালী ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, মাদ্রাসার সুপার ও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে আমার সরকারি নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদা পাঠানোর জন্য তাদের অন্য দু’টি পৃথক নম্বরও দেওয়া হয়। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ২৮, ২০১৯