শিশু তুহিনের বাবা-চাচা রিমান্ড শেষে কারাগারে
অক্টোবর ১৮, ২০১৯ ঢাকা জার্নাল: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিশু তুহিন হত্যার ঘটনায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আদালতে হাজির করা হয় তার বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির ও জমশেদ মিয়াকে। এসময় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে না চাইলে, আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর আশেক সুজা মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, আদালতে হাজিরের পর একজন জবানবন্দি দিতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি কে তা সূত্র জানাতে পারেনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আবু তাহের মোল্লা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে, সিলেটের ডিআইজি কামরুল হাসান শুক্রবার বিকালে দিরাইয়ের রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘এই মামলায় পুলিশ দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করবে।’ এসময় এডিশনাল ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়তুননবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,গত ১৩ অক্টোবর রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে রাতের
আঁধারে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশ রাস্তার পাশের
একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার
পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গটিও কেটে ফেলা হয়।
খবর পেয়ে পরদিন সকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সিআইডি ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বাবা আব্দুল বাছির ও তার তিন চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির, জমসেদ মিয়া, নাছির, জাকিরুল, চাচি খয়রুন বেগম ও চাচাতো বোন তানিয়াকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ খুনের কারণ ও খুনিদের পরিচয় নিশ্চিত হয়।
এরপর ১৫ অক্টোবর ভোরে তুহিনের মা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির ও জমশেদ মিয়াকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
You must be logged in to post a comment.