অস্তিত্বের প্রশ্নে একটু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি

নভেম্বর ১৯, ২০১৮

অভিমত: আমরা করবো জয়… আমরা করবো জয়… আমরা করবো জয় একদিন- বিখ্যাত এই গানটি সাফল্যের প্রতি মানুষের তীব্র ক্ষুধা এবং আকাঙ্ক্ষার কথা জানান দেয়। ব্যক্তিগত কিংবা কর্মজীবনে আমরা সবাই সাফল্য এবং ব্যর্থতার সূক্ষ্ম সীমারেখায় যুক্ত পথের যাত্রী। যে পথে সাফল্য এবং ব্যর্থতা পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে হাঁটে। তাই, সফল হতে চাইলে আপনাকে ব্যর্থও হতে হবে। শিখতে হবে আশপাশের মানুষের ব্যর্থতা থেকেও।বিগত ১০ টি বছর যাবত আমরা বাকৃবিয়ান তথা নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের বাইরে সমগ্র কৃষিবিদ সমাজ নিপীড়িত হয়েই এসেছি,ব্যর্থতার গল্পই বলে বেরিয়েছি এক শোষিত আরেক শোষিতের কাছে।তাই বলে কি আমরা এই পরাধীনতার বলয় থেকে বের হবো না????নাকি আমরা আমাদের নবীন কৃষিবিদদের ঠেলে দিবো অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের দিকে???১০ বছর আগে যেই পাখিটি আমাদের অগ্রজরা সরল মনে ছেড়ে দিয়েছিলেন উদ্দেশ্যেহীন এক গন্তব্যের পথে,সেই পাখিটিকে খাঁচায় বন্দি করে তার প্রাণটাই প্রায় শেষ করতে বসেছে অদৃশ্য এক সিন্ডিকেট। এখন দায়িত্ব আমাদের, সময় এসেছে নিজের হারানো ঐতিহ্য, কৃষ্টি পুনরুদ্ধারের। জানিনা অসম এই লড়াইয়ে আমরা কতটুকু কি করতে পারব,তবুও নিজের অস্তিত্বের প্রশ্নে একটু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি???শত প্রতিকূলতা, ক্রমাগত বিচ্ছিনতা, চরম হতাশা, অসম লড়াইয়ে ক্ষত বিক্ষত হয়েও আর্নেস্ট হেমিংওয়ের The old man and the sea এর মাঝি কিন্তু লড়াই করে গিয়েছিলেন।
Man is not made for defeat. Man can be destroyed, but not defeated!
মানুষের জন্ম তো হার স্বীকারের জন্য নয়। মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু কখনো পরাজিত হয় না। বাকৃবির জন্যে নিজে ধ্বংস হয়ে যাবো,কিন্তু পরাজিত হবো না।
ছালেহ-মোয়াজ্জেম প্যানেল হেরে গেলে,হেরে যাবে স্বাধীনতাকামী সকল কৃষিবিদ,হেরে যাবে সকল অধিকার বঞ্চিত কৃষিবিদদের আস্ফালন। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি,এবার আর বিনা বাঁধায় আগের বছরগুলোর মতো সিন্ডিকেট পার হয়ে যেতে পারবে না। ছালেহ-মোয়াজ্জেম প্যানেলের জন্যে শুভকামনা এবং নিরন্তর ভালোবাসা। জয় আসবেই।

লেখকঃ কৃষিবিদ শাহ্ কিবরিয়া মাহবুব তন্ময়

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.