নীলকমল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ছাত্রদল সম্পৃক্ততার অভিযোগ

মে ২৩, ২০১৮

ঢাকা জার্নাল:ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের নবগঠিত ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে ছাত্রদল সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে ফিরোজ আলম ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পারিবারিক ভাবেও ফিরোজের পরিবার জামাত-বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

ফিরোজের ছোট ভাই ফরিদ শিবিরের ক্যাডার হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। ফরিদ ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর বি এন পি-জামাতের জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচির সময় নাশকতা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৬ মাস জেল কেটেছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, বিএনপি-জামাতের কর্মসূচিকে ঘিরে একদল শিবির কর্মী নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুরে একটি মেসে প্রায়াত ওসি সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালায় মিরপুর থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিথি টের পেয়ে শিবির কর্মীরা ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক শিবির কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পরে সেখান থেকে ককটেল, বিপুল পরিমান পেট্রোল, গান পাউডার নিয়ে ফিরোজের ছোট ভাই ফরিদসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী অভিযোগ করে জানায়, অভিযুক্ত ফিরোজ আলম ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বি এম কলেজে ভর্তি হয়ে শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতা মোঃ মাহাবুবুর রহমান লিটনের সাথে সক্রিয় ভাবে ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করেন। ফিরোজ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে আগে বরিশাল থেকে নিজ এলাকায় এসে বিএনপি-জামাতের নেতা কর্মীদের সাথে বিভিন্ন নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে অংশ নিতে থাকে। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে ফিরোজ এলাকা থেকে পালিয়ে রাজধানীতে গিয়ে গা ঢাকা দেয়।

২০১৬ সালে জেলার নুরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্ব্বায়ক সাহাবুদ্দিন মাষ্টারের বড় ছেলে মোঃ আনোয়ারের বড় শ্যালেকের সাথে ফিরোজ আলমের ছোট বোনের বিয়ে হয়। আওয়ামী লীগ নেতার সাথে আত্মীয়তার সুবাদে অভিযুক্ত ফিরোজ এলাকায় প্রবেশ করে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করে। এরপর সাহাবুদ্দিন মাষ্টারের আর্শীবাদে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি র্নিবাচিত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজ আলম বলেন,আমি শুরু থেকেই ছাত্রলীগ করি। আমার ভাই ফরিদ জেলে ছিল সত্য। তবে তাকে সন্দেহ করে জেলে নেওয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.