শাহীন ব্যাপারীও চলে গেলেন

মার্চ ২৭, ২০১৮

ঢাকা জার্নাল: ঠমান্ডুতে ইউএস–বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারীও (৪২) চলে গেলেন না–ফেরার দেশে। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিদের মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ জনে।

সোমবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালাম শাহীন ব্যাপারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কয়েক দিন ধরে তিনি ঢাকা মেডিকেলের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৮ মার্চ শাহীন ব্যাপারীকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে করে দেশে আনা হয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানায়। আট বছর বয়সী এক কন্যাসন্তানের এই জনক স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জে। তিনি সদরঘাটে একটি কাপড়ের দোকানে ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় মাথার কিছু অংশ পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শাহীনের ডান পা ভেঙে গিয়েছিল। এ ছাড়া তাঁর শরীরে পেছন দিকেও আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পরপর শাহীনকে নেপাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ৪ ক্রুসহ উড়োজাহাজটির ৭১ জনের সবাই হতাহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি, ১ জন চীনা নাগরিকসহ ৪৯ জন নিহত হন। আর ১০ বাংলাদেশি, ৯ নেপালি, ১ মালদ্বীপের নাগরিকসহ ২০ জন আহত হন। শাহীন ব্যাপারীর এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশিদের নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। নেপালে নিহত বাকি ২৬ জনের সবাইকে দেশে এনে সমাহিত করা হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৭, ২০১৮।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.