নিবন্ধনবিহীন বয়লার ৬০ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ

জুলাই ১৮, ২০১৭

 ঢাকা জার্নাল: দেশের যেসব কারখানার(গার্মেন্টস বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের) বয়লারের রেজিস্ট্রেশন নেই সেসব কারখানার বয়লার ৬০ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সব কারখানার বয়লার পরিদর্শনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ৯ জুলাই গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকায় মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেডে বয়লার বিস্ফোরণের ১৩ জন নিহতের ঘটনায় মালিকের বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর করার নির্দেশনা এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান মিলন এ রিট দায়ের করেন। রিটে বয়লার আইনের বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

পরে মিলন জানান, বয়লার নিয়ে ১৯২৩ সালের একটি আইন ছিল। এ আইনে বয়লারের ব্যবহার নিয়ে একটি বিধিমালা প্রণয়নের কথা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখনো করা হয়নি। তাই এটি প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বয়লার নিয়ে আইনের বিধান অনুসরণে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না  তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, শ্রম সচিব, শিল্প সচিব, বিজিএমইএর সভাপতি, প্রধান বয়লার পরিদর্শকসহ ১৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে ৫ জুলাই ওই কারখানার মালিক, মহাব্যবস্থাপক বা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করে গ্রেপ্তার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

ওই নোটিশে বলা হয়, ৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকায় মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড নামের কারখানায় ডাইং সেকশনের বয়লার বিস্ফোরণে অপারেটর সালাম, এরশাদ এবং মন্সুর হকসহ ১৩ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন। ওই ঘটনায় কারখানার মালিক অপরাধ ঢাকা দেওয়ার জন্য সালাম, এরশাদ এবং মন্সুর হকসহ অন্য ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে চক্রবর্তী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুর রশিদকে বাদী করে পরের দিন মামলা দায়ের করেন।

‘নিহত সালামের ছেলে জানিয়েছেন, তার বাবা ওই ফ্যাক্টরিতে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে কাজ করছে। কারখানার বয়লার ছিল পুরনো ও ফিটনেসবিহীন। মালিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বললেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। ঘটনার দিন তার বাবার ডিউটি না থাকলেও ম্যানেজার টেলিফোনে বাবাকে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করে। কারখানার মালিক ও কর্তাব্যক্তিরা এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগেই মামলা করার অর্থ হলো অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করা।’

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১৮, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.