৫০০ টাকার জন্য খুন করা হয়েছে চীনা নাগরিককে!

ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬

ঢাকা জার্নাল : চীনা নাগরিক চেং হেসং (৪৫) কে আর্থিক বিরোধের জের ধরে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে যশোরের পুলিশ। তাকে প্রথমে রড দিয়ে পিটিয়ে ও পরে ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে রেখে দেয় খুনিরা। আর নিহত চীনা নাগরিকের গাড়ি চালক মামুন জানান, গাড়ির বিল হিসেবে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় চেং হেসংকে হত্যা করেছে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে যশোর উপশহরের মহিলা কলেজের পাশে সেক্টর নম্বর ২, বাড়ি নম্বর ৩৪ থেকে চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি মূলত চীন থেকে ইজিবাইকের ব্যাটারি আমদানি করে এ অঞ্চলে ব্যবসা করতেন। এই খুনের ঘটনায় চীনা নাগরিকের দুই সহকারী নাজমুল হাসান পারভেজ (২৬) ও তার ভাইপো মুক্তাদির রহমানকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।

যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদা ভিলা নামের তিনতলা বাড়িটির নিচতলায় চীনা নাগরিক চেং হেসংকে টাকার জন্যে তার সহকারী নাজমুল ও নাজমুলের ভাইপো মুক্তাদির রড বা লোহার পাইপ জাতীয় কোনও বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করে। ব্লেড দিয়ে দেহ কাটে। বস্তায় ভরে লাশ টয়লেটে রেখে দেয়। এরপর তার মোবাইলফোন সেট নিজেদের কাছে অফ করে রেখে দেয়।

পুলিশ সুপার জানান, নিহতের স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। তিনি রাতে কয়েকদফা ফোন করেও চেং হেসংকে না পেয়ে নাজমুলকে ফোন দেন। তখন নাজমুল জানায়, ‘স্যারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’। সেইসময় তার স্ত্রী বিষয়টি থানায় অবহিত করতে বলেন।

পুলিশ জানায়, গভীররাতে নাজমুল কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে জানাতে গেলে পুলিশ তাকেই সন্দেহ করে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মুক্তাদিরকে আটক করা হয়। তারাই পুলিশকে খুনের বিষয়টি জানায়। আটক দুজনের বাড়ি নেত্রকোণা সদরের চকপাড়া এলাকায়। রাত থেকেই ওই বাড়িটি পুলিশের নজরদারিতে ছিল।

এদিকে, সকালে যশোরের পুলিশ সুপার, কোতোয়ালি থানার ওসি, পিবিআই এবং সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন।

 চীনা নাগরিক চেং হেসং (৪৫) কে আর্থিক বিরোধের জের ধরে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে যশোরের পুলিশ। তাকে প্রথমে রড দিয়ে পিটিয়ে ও পরে ব্লেড দিয়ে কেটে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে রেখে দেয় খুনিরা। আর নিহত চীনা নাগরিকের গাড়ি চালক মামুন জানান, গাড়ির বিল হিসেবে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় চেং হেসংকে হত্যা করেছে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে যশোর উপশহরের মহিলা কলেজের পাশে সেক্টর নম্বর ২, বাড়ি নম্বর ৩৪ থেকে চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি মূলত চীন থেকে ইজিবাইকের ব্যাটারি আমদানি করে এ অঞ্চলে ব্যবসা করতেন। এই খুনের ঘটনায় চীনা নাগরিকের দুই সহকারী নাজমুল হাসান পারভেজ (২৬) ও তার ভাইপো মুক্তাদির রহমানকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।.

পুলিশ সুপার জানান, নিহতের স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। তিনি রাতে কয়েকদফা ফোন করেও চেং হেসংকে না পেয়ে নাজমুলকে ফোন দেন। তখন নাজমুল জানায়, ‘স্যারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’। সেইসময় তার স্ত্রী বিষয়টি থানায় অবহিত করতে বলেন।

পুলিশ জানায়, গভীররাতে নাজমুল কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে জানাতে গেলে পুলিশ তাকেই সন্দেহ করে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মুক্তাদিরকে আটক করা হয়। তারাই পুলিশকে খুনের বিষয়টি জানায়। আটক দুজনের বাড়ি নেত্রকোণা সদরের চকপাড়া এলাকায়। রাত থেকেই ওই বাড়িটি পুলিশের নজরদারিতে ছিল।

এদিকে, সকালে যশোরের পুলিশ সুপার, কোতোয়ালি থানার ওসি, পিবিআই এবং সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন।.

এদিকে, সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংকালে আটক নাজমুল ও তার ভাইপো মুক্তাদিরকে সামনে আনা হলে নিহতের স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি ওইসময় সবার সামনেই নাজমুলকে কিল ঘুসি ও লাথি মারতে থাকেন। চীনা ভাষায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে চিৎকার করতে থাকেন।

এদিকে নিহতের ড্রাইভার মামুন জানান, মাত্র পাঁচশ’ টাকার জন্য চেং হেসংকে খুন করেছে নাজমুল ও মুক্তাদির। তারা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ভাড়া বাবদ ৮০০ টাকা চেয়েছিল চীনা নাগরিকের কাছে। কিন্তু তিনি ৩০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এর পরই ওই দুইজন তাকে হত্যা করে।

পুলিশ জানায়, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদা ভিলা নামের তিনতলা বাড়িটির নিচতলায় চীনা নাগরিক চেং হেসংকে টাকার জন্যে তার সহকারী নাজমুল ও নাজমুলের ভাইপো মুক্তাদির রড বা লোহার পাইপ জাতীয় কোনও বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করে। ব্লেড দিয়ে দেহ কাটে। বস্তায় ভরে লাশ টয়লেটে রেখে দেয়। এরপর তার মোবাইলফোন সেট নিজেদের কাছে অফ করে রেখে দেয়।পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর এডিশনাল এসপি আব্দুল মতিন জানান, স্বামীর কোনও খোঁজ না পেয়ে সকালের ফ্লাইটে তার স্ত্রী টেমু লাই এন যশোরে চলে আসেন। তিনি পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

বাড়ির মালিক মাসুদুর রহমান জানান, চেং হেসং প্রায় সাত মাস তার বাড়িটি ভাড়া নেন। এখানে তার গোডাউন রয়েছে।

কোতোয়ালি তানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, তিনি ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন।

তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশে আসেন ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর।

ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.