বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচি

মে ৫, ২০১৬

robindroঢাকা জার্নাল: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী জাতীয় পর্যায়ে উদ্যাপন উপলক্ষে সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।

আগামী ২৫ বৈশাখ (৮ মে) বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রোরবার (৮ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজ।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোল্লা আহমদ কুতুবুদ-দ্বীন বাংলানিউজকে জানান, এবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘একুশ শতকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতা’।

এ বিষয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য দেবেন- বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা।

আলোচনার পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবে ৩০ মিনিটের সাংস্কৃতিক পর্ব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এ পর্ব রবীন্দ্রনাথের বাউল ধারার গানে সমৃদ্ধ থাকবে। এছাড়া মূল অনুষ্ঠানস্থলের পাশে রবীন্দ্রনাথের আঁকা চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

ঢাকাসহ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওঁগার পতিসর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় তার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে।

এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিনদিনব্যাপী কবির চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমি কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে। যথাযোগ্য মার্যাদায় কবির জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বাংলা একাডেমি। ঢাকাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদ্যাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেসব জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে না, সেসব জেলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করবে।

জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলসমূহ সম্প্রচার করবে।

কবিগুরুর ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে মূল অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহে ব্যাপক নিরাপত্তা দেবে।

ঢাকা জার্নাল, মে ০৫, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.