ইনুকে ‘মশাল’, ইসির সিদ্ধান্তে বিস্মিত আম্বিয়া-নাজমুল

এপ্রিল ২৯, ২০১৬

Moshalঢাকা জার্নাল: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদকে (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) মশাল প্রতীক বরাদ্দ করার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন শরীফ নূরুল আম্বিয়া এবং নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাসদ।

ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদকে মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার ( এপ্রিল ২৯) এক বিবৃতিতে জাসদের (একাংশ) কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন,‘গত ১৩ এপ্রিল ২০১৬ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষের বরাতে হাসানুল হক ইনু’র নেতৃত্বাধীন জাসদকে মশাল প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হবার দু’ সপ্তাহ পরে লিখিত সিদ্ধান্ত দেবার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশে আমরা যুগপৎভাবে বিভ্রান্ত ও বিস্মিত।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পরে আমাদের পক্ষ থেকে বিবৃতি ও আইনজীবীর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আরো দলিলপত্রের ভিত্তিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবার আহ্বান জানানো হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন আমাদের আবেদনকে বিবেচনা না করেই দু’ সপ্তাহ পরে মশালের দাবিদার অপর পক্ষকে ডেকে এনে লিখিত সিদ্ধান্ত হস্তান্তর করেছে, অথচ আমাদের প্রতিনিধি ঐ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনে আমাদের একটি আবেদন জমা দেবার জন্য উপস্থিত হলে তাকে কিছু জানানো হয়নি এবং এখনো পর্যন্ত আমরা নির্বাচন কমিশনের কোন লিখিত পত্র পাইনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পূর্বেই মৌখিক সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে ঘোষণা আমাদের জন্য ক্ষতিকর ও অবমাননাকর। তদুপরি মৌখিক ঘোষণার দু’ সপ্তাহ পরে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণার লুকোচুরি খেলার রহস্য আমরা বুঝতে অক্ষম।’

জাসদের দপ্তর সম্পাদক ইউনুসুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘আমরা এটা পুনরুল্লেখ করছি যে, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মশাল মার্কা নিয়ে নির্বাচিত দু’জন সদস্য সহ জাসদের যে কমিটি গঠিত হয়েছে তাকে কোনো বিবেচনায় না নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ন্যায় বিচার ও এ যাবতকাল চলে আসা রীতি-নীতির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। তাছাড়া অপর পক্ষের নির্বাচনী কাউন্সিলের কার্যবিবরণী, কেন্দ্রীয় কমিটি ও স্থায়ী কমিটির বিবরণ যা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে বলে আমরা জেনেছি, তার সত্যতা চ্যালেঞ্জ করার কোন সুযোগ আমাদেরকে দেয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমাদের সাক্ষ্য প্রমাণ দেখার সুযোগ দেয়া। তারা সেটা না করে আমাদের জমা দেয়া কাগজপত্র আমাদের অগোচরে তাদেরকে সরবরাহ করে এক পক্ষে রায় দেবার জন্য তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। অবস্থাদৃষ্টে এটা প্রতীয়মান হয় যে, নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ জনাব ইনু’র নেতৃত্বাধীন জাসদের পক্ষে রায় দেবার সিদ্ধান্ত আগে ভাগেই নিয়ে রেখেছিলেন এবং তাকে যুক্তিযুক্ত প্রমাণ করার জন্য জনাব ইনু’র জাসদের সাথে নৈতিকতা বহির্ভূত যোগসাজস করে কাগজপত্র তৈরি করে তার সত্যতা নিরূপণের আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে মশাল প্রতীক বরাদ্দের রায় দিয়ে ফেলেছেন।

আমরা নির্বাচন কমিশনের এহেন আইন ও রীতি-নীতি বর্জিত পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত বাতিল করে আমাদের যুক্তিগুলো বিবেচনা করে ও অপর পক্ষের প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্রের অসারতা পরীক্ষা করে বিষয়টি আবারো ভালোভাবে পর্যালোচনা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।’

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ২৯, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.