‘ডিজেলের দাম নির্ধারণ হবে বন্ধ‍ুত্বের চেতনায়’

এপ্রিল ১৭, ২০১৬

PMঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশকে ডিজেল দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ করা হবে বন্ধুত্বের চেতনায়, বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নয়। একথা বলেছেন ঢাকায় সফররত ভারতীয়   তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী (ইনডিপেনডেন্ট চার্জ) ধর্মেন্দ্র প্রধান।

তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছে রোববার (১৭ এপ্রিল) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশকে পাইপলাইনে ডিজেল দেওয়ার জন্য ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলাদেশকে স্বল্পমূল্যে ডিজেল দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে ভবিষ্যতেও ভারতের এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

আর সফররত ভারতীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা,  তার সফরসঙ্গী ভারতের জ্বালানি সচিব সঞ্জয় সোধি ও ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের চেয়ারম্যান বি অশোক।

চট্টগ্রামে এলপি গ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের লক্ষ্যে সোমবার (১৮ এপ্রিল) ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মধ্যে যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা দেশ গঠনে কাজ করছি। এজন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন।

গঙ্গা চুক্তি, স্থল সীমান্ত চুক্তির কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ-ভারত নেপাল-ভুটান ও বাংলাদেশ-চিন-ভারত-মায়ানমার সংযোগ সড়কের উদ্যোগের ওপর ফের জোর দেন।

আলাচনাকালে প্রধানমন্ত্রী ‘দারিদ্র্যের বিরুদ্ধেও আমাদের এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে,’ বলে উল্লেখ করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

নামমাত্র মূল্যে ভারত থেকে গ্যাস-অয়েল ডিজেল আনার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেটি আরো তরান্বিত করতে পাইপ লাইন স্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করেন ভারতীয় মন্ত্রী। উত্তর ভারত থেকে বাংলাদেশকে সংযোগ করে এই ডিজেল সরবরাহ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে গত ১৯ মার্চ ভারত থেকে ডিজেল আমদানির কাজ উদ্বোধন হয়। ওই দিন ২২ শ’ মেট্রিকটন গ্যাস-ওয়েল ডিজেল বাংলাদেশে পাঠায় ভারত। ৪২টি তেলবাহী ট্যাংকারে করে তা পাঠানো হয়। ধারনা করা হচ্ছে পাইপ লাইন স্থাপনের মধ্য দিয়ে এই জ্বালানি তেল আনার খরচ কম হবে, সময় বাঁচবে।

তিনদিনের (১৭- ১৯ এপ্রিল) সরকারি সফরে রোববার ঢাকায় আসেন ভারতীয় তেল-গ্যাস প্রতিমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে সফরে সঙ্গী হিসেবে আছেন দেশটির সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুত খাতের ঊর্ধ্বতনরা।

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১৭, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.