‘কারাগার বন্দিশালা নয়, হবে সংশোধনাগার’

এপ্রিল ১০, ২০১৬

pmঢাকা জার্নাল: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারাগার বন্দিশালা নয়, হবে অপরাধীদের সংশোধনাগার।

রোববার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপরাধ করে তাদের কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু তাদের পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন একটা পরিবেশ। কারাগারে এসে অপরাধীরা যেন নিজেদের সংশোধন করতে পারে। সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারে।

তিনি বলেন, কারাগারে বন্দিদের কর্মমুখী জীবন দিতে চায় সরকার। তারা যেন কারাগারে থেকেও কিছু রোজগার করতে পারে। বন্দি জীবন শেষে সেই অর্থ দিয়ে যেন ভালো কিছু করতে পারে। কারাবন্দীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের চিকিৎসার জন্য আরো বড় হাসপাতাল করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের সমস্যাগুলো চিহিৃত করে তা সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। ’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে গেলেই আন্দোলনে নামে কিছু কিছু অদ্ভুত চিন্তার মানুষ। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নাকি নির্মাণ করতে দেবে না। দিনাজপুরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। একটা কয়লার জাহাজ ডুবে যাওয়াতে নাকি পানি দূষিত হয়েছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করলে নাকি এসিড বৃষ্টি হবে। এসব অদ্ভুত চিন্তার মানুষ দেশের উন্নয়ন চায় না। পৃথিবীর সব দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। যত দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেশের মানুষের সেবা দেওয়া যায় সরকার সেই চেষ্টাই করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারাগারে বিদ্যুৎ থাকবে। কিন্তু নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে মোবাইলে কথা বলে। এটা বন্ধ করে মাসে কমপক্ষে একবার যাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কারাগারে অফিসারের সংখ্যা বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘কারাগারের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই আমাদের সম্পর্ক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে, তাদের দাবি আদায় করতে গিয়ে, অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি বারবার কারাগারে গেছেন। ১৫ দিনে একদিন দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। স্কুল, কলেজ থেকে সেখানে ছুটে গেছি। আবার আমাকেও বন্দি করা হয়েছিল। আমি জানি, কারাবন্দির কষ্ট, তাদের সমস্যা।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার ‍উন্নতির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ আমাদের খাদ্যের ঘাটতি নেই। কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে নয়, মাথা উঁচু করে চলবে দেশ। স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে।

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১০, ২০১৬।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.