জরিমানার অর্থ জমা দিলেন দুই মন্ত্রী

এপ্রিল ৩, ২০১৬

kamrul_mozammelঢাকা জার্নাল : আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জরিমানার অর্থ জমা দিয়েছেন। তাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে শনিবার ( ০২ মার্চ)  তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২৭ মার্চ আদালত অবমাননার দায়ে এই দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে সাত দিনের মধ্যে এই অর্থ ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে দিতে বলা হয়, তা না হলে খাটতে হবে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগ দুই মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই রায় দেয়।

শনিবার (০২ মার্চ)  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক , “ওই অর্থ জমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

খাদ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, “আমরা বুধবার সংক্ষিপ্ত আদেশের কপি হাতে পাই। আদালতের নির্দেশ অনুসারে বৃহস্পতিবার ২৫ হাজার টাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও ২৫ হাজার টাকা লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে ডোনেশন হিসেবে জমা দিই। এখন পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপির জন্য অপেক্ষা করছি। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে রিভিউর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

গত ৫ মার্চ ঢাকায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক গোলটেবিল আলোচনায় কামরুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার শুনানিতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ প্রকাশের মধ্য দিয়ে ‘রায়েরই ইঙ্গিত’ মিলছে।

রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চে পুনঃশুনানির দাবি তোলেন সরকারের এই মন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এর তিন দিনের মাথায় আপিল বিভাগ জামায়াত নেতা মীর কাসেমের আপিলের যে রায় দেয়, তাতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।

ওই রায় ঘোষণার আগে পুরো আপিল বিভাগকে নিয়ে বসে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা দুই মন্ত্রীকে তলবের আদেশ দেন।

‘দুই মন্ত্রীর দেওয়া যে বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা বিচার প্রশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ এবং সুপ্রিম কোর্টের সম্মান ও মর্যাদাকে হেয় করার শামিল’ বিবেচনা করে আদালত অবমাননার রুল জারি হয় তাদের বিরুদ্ধে।

পরে আদালতে হাজির হয়ে তারা দুই জনই আইনজীবীর মাধ্যমে ওই বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন।

তবে ২৭ মার্চ ঘোষিত রায়ে দুই জনের ওই আবেদন আদালত প্রত্যাখ্যান করে।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০২, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.