বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ করবে ইইউ

মার্চ ১০, ২০১৬

tofaila_and_maiydurঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশের সবচে বড় রফতানিক্ষেত্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন এদেশে তাদের নতুন বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ অন্য কোম্পানিগুলোকেও তারা এখানে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়গুলো যৌথভাবে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে তারা বিষয়গুলো জানান।

এদিন দুপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সাক্ষাতে আসেন। আলাপচারিতা শেষে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইইউ বাংলাদেশের সুবিধা বাড়াতে নানা সহযোগিতা করছে। তারা আমাদের সবচে বড় রফতানি ক্ষেত্র। ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি রফতানি করেছি গতবছর। মুদ্রাস্ফীতি না হলে এটি ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতো। একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বেশি হয়। দু’দেশ মিলিয়ে আমাদের এবার সাত বিলিয়ন ডলার হবে রফতানি। এদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতি দেখে তারা বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

‘আমাদের এখানে যারা বিনিয়োগ করছেন, আমরা নিজেরাই তাদের মুনাফার সুযোগ বাড়িয়ে দেই। এজন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য ভালো। ইইউ অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যে ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিয়ে থাকে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে নতুন বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা রাজি আছি। মন্ত্রী ইতোমধ্যে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সরকার, মন্ত্রণালয়, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা মনোযোগী হলে পারস্পরিক এ সম্পর্ক ও সমঝোতা আরও বাড়বে। আমরা ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করবো বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি মন্ত্রীসহ সবাইকে অভিবাদন জানাতে চাই, তারা অনেক আন্তরিক। বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আমাদের অনেক ভালো। এটি আরও বাড়াতে চাই। রফতানিতে আমরা সুবিধা দেই, এটি আরও বাড়াতে আন্তরিক আমরা। এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সম্পর্ক কাজে লাগবে। এখন অর্থনৈতিক এ সম্পর্কের সুফলই আসবে কেবল।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, কোথাও যেনো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নেতিবাচকভাবে পরিলক্ষিত না হয়, সে বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নে ইইউ সবসময় পাশে থাকবে, এটা বলতে চাই।

‘যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক, ব্যবসায়ীরা একটা উপায় করবেন’ যুক্তরাজ্যে সরাসরি ঢাকার কার্গো প্লেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, এটি সাময়িক। তারা বলছেন, অনেক ভিজিটর যায় সেখানে। কিন্তু এখনতো সেভাবে যায় না। আমাদের ব্যবসায়ীরা কোনো একটা ব্যবস্থা ঠিকই করে নেবেন। আমাদের বাণিজ্যের অবস্থা বেশ ভালো। তাই মনে করি, এ নিষেধাজ্ঞায় তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

‘কার্গো প্লেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) কিছু করার নেই। আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সেদেশের সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়টি তাড়াতাড়ি সমাধান করলে আমরা সুবিধা পাবো।’

তিনি বলেন, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয় শতাংশ গ্রোথ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এতো সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাণিজ্য ভালো।

মন্ত্রী বলেন, ইইউ প্রতিনিধিরা আজ বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। আজ আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের প্রতি আন্তরিকতা থেকে নিজেদের ব্যবসায়িক কাউন্সিল নতুন করে সাজাবেন।

‘যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি শর্ত কেয়ামত পর্যন্ত শেষ হবে না’ জিএসপি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সব শর্ত পূরণের পরও কেন বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে না, সে জবাব মার্শা বার্নিকাট দেবেন। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত পূরণ করা শেষ হবে না, তাদের শর্তও শেষ হবে না।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ১০, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.