নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৩ রান

মার্চ ৯, ২০১৬

Bangladesh_ঢাকা জার্নাল: আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপের বাছাইপর্বের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ মিশনের শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৫৩ রান। দারুণ ব্যাট করেন টাইগারদের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল।

নেদারল্যান্ডসের দলপতি পিটার বোরেন টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ১৩ ম্যাচ খেলা সৌম্য সরকার এবং ৪৭ ম্যাচ খেলা তামিম ইকবাল। প্রথম ওভার থেকে তারা তুলে নেন ৮ রান। দ্বিতীয় ওভার থেকে দুই ওপেনার আরও ৬ রান তুলে নেন।

তৃতীয় ওভারে ৪ রান নিলেও চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। বিদায় নেওয়ার আগে তিনি ১৩ বলে দুটি চারের সাহায্যে করেন ১৫ রান।

দলীয় ১৮ রানের মাথায় ওপেনার সৌম্য সরকার বিদায় নিলেও রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিন নম্বরে নামা ২০ ম্যাচ খেলা ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের আসরের সেরা ব্যাটসম্যান সাব্বির ইনিংসের অষ্টম ওভারে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। আউট হওয়ার আগে তামিমকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ৪২ রান যোগ করেন সাব্বির। ১৫ বলে এক চার ও এক ছয়ে ১৫ রান করেন তিনি।

ওপেনার সৌম্য সরকারের পর ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান বিদায় নেন। এরপর উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল। তবে, ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ইনিংসের ১১তম ওভারে বোরেনের বলে মাইবার্গের তালুবন্দি হন ৭ বলে ৫ রান করা সাকিব।

ইনিংসের ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এর আগে তার ব্যাট থেকে একটি বাউন্ডারিতে আসে ৯ বলে ১০ রান। ভ্যান ডার গুগটেনের একই ওভারের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম।

১৮তম ওভারে বলের লাইন বুঝতে না পেরে নাসির ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। বিদায় নেওয়ার আগে ৭ বলে ৩ রান করেন তিনি। পরের ওভারে ফেরেন টাইগারদের দলপতি মাশরাফি। ৫ বলে একটি ছ্ক্কায় তিনি করেন ৭ রান।

৩৬ বলে অর্ধশতক হাঁকানো তামিম ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ২২ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশতকের দেখা পান তিনি। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। ডাচদের বিপক্ষে এর আগে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৮৩ রানের ইনিংস সাজাতে তামিম খেলেন মাত্র ৫৮টি বল। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর ৩টি ছক্কা।

ডাচদের হয়ে ভ্যান ডার গুগটেন নেন তিনটি উইকেট।

বুধবার (৯ মার্চ) ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়।

ওয়ানডে ফরমেটে দুর্দান্ত খেলা বাংলাদেশ এখন দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টিতেও। গত জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিতে দু’টি জয় পেলেও দু’টিতে হেরে ২-২ এ সমতা নিয়ে সিরিজ শেষ করতে হয়েছিল স্বাগতিকদের। তবে নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে বেশি সময় নেয়নি লাল-সবুজের দল। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে প্রথমবারের মতো ঢাকার মাটিতে মাত্রই শেষ হয়েছে এশিয়া কাপের তেরোতম আসরের খেলা যেখানে ‍আমিরাত, পকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা তিন জয়ে এরই মধ্যে এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন মাশরাফিরা।

এশিয়া কাপের এমন উড়ন্ত ফর্ম নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে মোকাবেলা করছে টিম বাংলাদেশ।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এর আগে দু’টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় সাকিব-সাব্বিররা, যেখানে একটিতে জয় পায় বাংলাদেশ আর একটিতে নেদারল্যান্ডস। এরপর দুই দলের আর কোনো মুখোমুখি লড়াই হয়নি।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০৯, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.