ধর্ষণে জন্ম নেওয়া শিশু পাচ্ছে ধর্ষকের সম্পত্তি
মার্চ ৩, ২০১৬ ঢাকা জার্নাল : ফেনীতে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুকে ধর্ষক তৌহিদুল আলম সোহেলের সম্পত্তির উত্তরাধিকার দেওয়া হয়েছে।
১০ বছর আগে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ওই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দিয়েছেন আদালত৷
বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-দুই এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুবক সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। মামলা দায়েরের সময় থেকেই তিনি পলাতক।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, আসামি সোহেলকে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি ফরিদ আহম্মদ হাজারী।
তিনি বলেন, ধর্ষণ ও এর ফলে শিশু জন্মের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বর্ণিত বিধি অনুযায়ী শিশুকে আসামির সম্পত্তির ওয়ারিশ ঘোষণা করেছেন।
এ আইনের ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিলে এবং ওই অর্থ তার বিদ্যমান সম্পদ থেকে আদায় করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে আসামি যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন তা থেকে আদায় করা যাবে। সে ক্ষেত্রে ওই সম্পদের ওপর অন্যান্য দাবির চেয়ে দণ্ড বা ক্ষতিপূরণের দাবি প্রাধান্য পাবে৷
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ফেনীর আদালতে ধর্ষণ মামলায় শিশুকে সম্পদের অংশীদার করার রায় এই প্রথম।
মামলার নথির বরাত দিয়ে এপিপি ফরিদ হাজারী জানান, ২০০৬ সালের ২০ অগাস্ট তৌহিদুল আলম সোহেল অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনার পর মেয়েটি সোহেল, তার দুই ভাই ও বোনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং সন্তানের জন্ম দেয়।
এদিকে, সোহেল পালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চলে গেছেন বলে জানা গেছে। তার সন্তান একটি পরিবারের কাছে দত্তক দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০২, ২০১৬