নৃশংস : মাকে খুনের পর দুই বোনকে হত্যা
মার্চ ৩, ২০১৬ ঢাকা জার্নাল : নৃশংস ছেলে নিজের মাকে খুন করেছে বছর পাঁচেক আগে। এবার নিজের দুই বোনকে নিজ হাতে হত্যা করেছে।
বর্বর এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সাহিওয়ালের নুরশাহ গ্রামে। হত্যাকারী মোহাম্মদ আসিফকে খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড অনার কিলিং। পরিবারিক শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে আফিস তার দুই বোনকে খুন করেছে। এর আগে তার মাকে খুন করে পারিবারিক ক্ষমায় ছাড় পেয়ে যায় সে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসিফকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সাহিওয়ালের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আল্লাহ দিট্টা ভাট্টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ২০ থেকে ২২ বছর বয়সি আসিফ তার দুই বোনকে গুলি করে হত্যা করে। আসিফের অভিযোগ, তার দুই বোনের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে এবং তাদের চালচলন পরিবারের বিরুদ্ধে। গুলি করার পর দুই বোনই ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
সাহিওয়ালের অন্য পুলিশ কর্মকর্তারাও এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে শুধু পাঞ্জাব নয়, পুরো পাকিস্তানে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনার কিলিংয়ের বিরুদ্ধে জনমত সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের প্রায়ই অনার কিলিংয়ের ঘটনা ঘটে। ভারতের কিছু কিছু প্রদেশেও অনার কিলিং হয়ে থাকে। পরিবার ও গুরুজনদের বিরুদ্ধে গিয়ে বা সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো ধরনের কাজ করলে অথবা প্রেমঘটিত কোনো ঘটনা ঘটলে পরিবার তার যেকোনো সদস্যকে চরম শাস্তি দিয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে পরিবার তার সন্তানকে হত্যা করে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডকে সম্মান বাঁচাতে হত্যা বা অনার কিলিং বলা হয়।
সোমবার পাকিস্তানের লাহোরে একটি অনার কিলিংয়ের ঘটনা ঘটে। বাবাকে না জানিয়ে ঘণ্টা পাঁচেক বাড়ির বাইরে থাকায় ক্ষিপ্ত বাবা তার মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে। এর আগে অহরহ এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
অনার কিলিংয়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন লড়ছেন, যেন আইন করে তা বন্ধ করা হয়। অনার কিলিংয়ের কোনো অনুমতি নেই পাকিস্তানে। কিন্তু কিছু কিছু অঞ্চলে সামাজিক প্রথা এতটা গোড়ামিপূর্ণ, যা অনার কিলিংয়ের মতো অপরাধকে সমর্থন করে।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০৩, ২০১৬।