এটিএম বুথে জালিয়াতি, বিদেশি আটক

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬

atmঢাকা জার্নাল :  এটিএম বুথে বিশেষ যন্ত্র বসিয়ে কার্ড জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক বিদেশি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তির নাম এখনও জানা যায়নি।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি পূর্ব ইউরোপের একটি দেশের নাগরিক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বনানীতে অবস্থিত একটি এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয় এবং গতকাল রাতে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ওই ব্যক্তির কাছে একাধিক দেশের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তার ভিসা যাচাই করা হচ্ছে।

তবে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মারুফ হোসেন সর্দারের কাছে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে সম্মত হননি।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় চার-পাঁচজন বিদেশিকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। জালিয়াতির ঘটনায় সিসি ক্যামেরায় পাওয়া ছবি দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজধানীতে ইস্টার্ন, সিটি ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) চার বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে কার্ডের তথ্য চুরি ও পরবর্তী সময়ে কার্ড ক্লোন করে গ্রাহকদের অজান্তে টাকা তুলে নেওয়া হয়। তবে তা জানাজানি হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। এ ঘটনায় ইউসিবি গত শুক্রবার বনানী থানায় ও সিটি ব্যাংক গত সোমবার পল্লবী থানায় আলাদা দুটি মামলা করে। ইউসিবির মামলাটির তদন্ত করছে ডিবি।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেয় ব্যাংকটি। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্য থেকে পাঁচজন গ্রাহকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টাকা তুলে দেওয়া হয়। এটিএম বুথে বিশেষ যন্ত্র বসিয়ে কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় ইস্টার্ন ব্যাংকের মোট ২৮ জন গ্রাহকের ১৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এই জালিয়াতির ঘটনায় চারটি ব্যাংকের ৪০ জন গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের হিসাব থেকে প্রায় ২১ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংকের ২৮ জন, সিটি ব্যাংকের ৪ জন, ইউসিবির ৭ জন এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ জন রয়েছেন। ইস্টার্ন, সিটি ও ইউসিবির গুলশান, বনানী ও মিরপুরের কালশী এলাকার মোট চারটি বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসানো অবস্থায় ১ হাজার ২০০ কার্ডের লেনদেন হয়।

ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.