পর্যটনে বাংলাদেশ হবে এক নম্বর

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬

press_club_ঢাকা জার্নাল: সৃষ্টিকর্তা বাংলাদেশে যা দিয়েছেন, তা পৃথিবীর আর কোনো দেশেই নেই। এখানে সমস্যা কেবল সাজানো-গোছানোতে। এটা করতে পারলে পর্যটন খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের এক নম্বর হবে।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন আমেরিকান বংশদ্ভূত বাংলাদেশি মারফিয়া।

তিনি বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে আমি আমেরিকায় গিয়ে বিয়ে করি। এরপর আবার দেশে আসি। আমার ছেলে-মেয়েদেরও এদেশে এনেছি। তারা বাংলাদেশ অনেক পছন্দ করে। কিন্তু একবার আসার পর যখন আবার আমেরিকায় গিয়ে বললাম, চলো বাংলাদেশ যাই, ওরা বলে, মা তোমার দেশ অনেক সুন্দর, কিন্তু অগোছালো। কাজেই এখানে প্রাকৃতিক যে সৌন্দর্য সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন তা একটু গুছিয়ে নিলেই কোনো সমস্যা থাকবে না।

মারফিয়া বলেন, কক্সবাজারটা আনপ্ল্যান্ড হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কুয়াকাটায় অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। সেদিকে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে ছেলেকে নিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম। সেখানে কোনো ব্রিজ ছিলোনা, মোটরসাইকেলে করে যেতে হতো। অনেক কাদা ছিলো। এরপর যখন বিচে গিয়ে পৌঁছালাম, ছেলে বিস্ময় নিয়ে বললো, মা তোমার দেশ তো অনেক সুন্দর। কিন্তু এখানে কোনো হোটেল নেই, বাগান নেই, রেস্টুরেন্ট নেই। এগুলো গড়া দরকার।

মারফিয়া এরপর থেকে ঘুরে ঘুরে জরিপ করে দেখছেন কোথায়, কি ধরনের সুবিধা চান পর্যটকরা।

তিনি বলেন, আমি পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরেছি। কিছুদিন আগেও ইতালির ভেনিসে গিয়েছিলাম। ওখানে ওরা কি করেছে, কিছুই না। শুধু নদীটাকে মর্ডানাইজ করেছে। আর শপিং মল ও রেস্টুরেন্ট গড়েছে। পর্যটকরা শুধু শপিং করছেন আর খাচ্ছেন। কিন্তু আমার দেশ এতো সুন্দর যে সৃষ্টিকর্তা যা দিয়েছেন তা সাজাতে পারলে, গোছাতে পারলেই কোনো সমস্যা থাকবে না। পর্যটন খাতে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের এক নম্বর।

‘এমপ্লয়মেন্ট অপরচ্যুনিটিস ফর উইমেন ইন দ্য হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি।

সভায় ইউনির্ভাসিটির হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট অধ্যাপক ড. এ আর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম সোসাইটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লেলিন, স্কুল অব বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, লেকচারার সাবরিনা রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা জার্নাল,১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.