আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়

ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫

15দেশের ২২৮টি পৌরসভায় গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই দলের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীরা ১৭১টি পৌরসভায় জয় তুলে নিয়েছেন। একই দলের ১৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থীও স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে লড়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ছয়টি পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এই দলের আরো ছয় মেয়র পদপ্রার্থী। অন্যদিকে গতকালের ভোটে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন মাত্র ২২টি পৌরসভায়। এই দলের একজন বিদ্রোহী প্রার্থীও জয় পেয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি এক, জামায়াতদলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই ও দলবিহীন আরো আটজন বেসরকারিভাবে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন। কেন্দ্রে ভোটগ্রহণকালে গোলযোগের জন্য নির্বাচন স্থগিত রয়েছে ছয়টি পৌরসভায়। এবার ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আগেই বিনা ভোটে নির্বাচিত হন ছয় মেয়র পদপ্রার্থী। বাকি ২২৮টিতে গতকাল ভোট গ্রহণ করা হয়। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। ভোট স্থগিত হওয়া পৌরসভাগুলো ছাড়া বাকিগুলোর ফল রাত ১২টার মধ্যেই বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়। পৌরসভাগুলোর রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের নেওয়া তথ্য অনুযায়ী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা হলেন : আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা : কুমিল্লায় আবুল খায়ের (লাকসাম), মফিজুল ইসলাম (চান্দিনা), নজরুল ইসলাম (হোমনা), নাইম ইউসুফ (দাউদকান্দি), মিজানুর রহমান (চৌদ্দগ্রাম), তাকজিল খলিফা (আখাউড়া), নাজমুল আলম (কচুয়া), রফিকুল ইসলাম জর্জ (ছেংগারচর), আওলাদ হোসেন (মতলব), মাহফুজুল হক (ফরিদগঞ্জ), আ স ম মাহবুবুল আলম (হাজীগঞ্জ), ওমর ফারুক খান (দাগনভূঞা), আবদুল কাদের (বসুরহাট), এ কে এম ইউসুফ আলী (হাতিয়া), আবুল খায়ের পাটোয়ারী (রামগঞ্জ), ইসমাইল খোকন (রায়পুর), এম মেজবাহ উদ্দিন (রামগতি), নাজিম উদ্দিন (বারইয়ারহাট), জাফর উল্যাহ (সন্দ্বীপ), গিয়াস উদ্দিন (মিরসরাই), বদিউল আলম (সীতাকুণ্ড), দেবাশীষ পালিত (রাউজান), শাহজাহান শিকদার (রাঙ্গুনিয়া), হারুনুর রশিদ (পটিয়া), মাহবুবুল আলম (চন্দনাইশ), মো. জুবায়ের (সাতকানিয়া), সেলিমুল হক (বাঁশখালী), সামছুল হক (মাটিরাঙা), মোহাম্মদ ইসলাম বেবী (বান্দরবান সদর), জহিরুল হক (লামা), খলিল উদ্দিন (জকিগঞ্জ), আব্দুল মনাফ (জগন্নাথপুর), আয়ুব বখত সুমন (সুনামগঞ্জ সদর), মোশারফ মিয়া (দিরাই), আবুল কালাম চৌধুরী (ছাতক), জুয়েল আহমেদ (কমলগঞ্জ), ফজলুর রহমান (মৌলভীবাজার সদর), আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী (বড়লেখা), ছালেক মিয়া (শায়েস্তাগঞ্জ), হিরেন্দ্র লাল সাহা (মাধবপুর), রায়হান উদ্দিন মিয়া (নগরকান্দা), কাজী লিয়াকত আলী (গোপালগঞ্জ সদর), শহীদুল ইসলাম শাহিন (মীরকাদিম), মো. ফয়সাল (মুন্সীগঞ্জ সদর), হাজি আবদুল গনি (সাভার), আনিছুর রহমান (শ্রীপুর), ইউনুস ব্যাপারী (জাজিরা), রফিকুল ইসলাম (শরীয়তপুর সদর), হায়দার আলী (নড়িয়া), আবদুল মান্নান হাওলাদার (ভেদরগঞ্জ), হুমায়ুন কবির (ডামুড্যা), খালিদ হোসেন (মাদারীপুর সদর), আওলাদ হোসেন খান (শিবচর), আব্দুল আল মাসুদ (পাংশা), মুহম্মদ আলী চৌধুরী (রাজবাড়ী সদর), কবির হোসেন মোল্লা (ধামরাই), মো. কামরুজ্জামান (নরসিংদী সদর), আমিনুর রশিদ (মনোহরদী), খন্দকার মনজুরুল ইসলাম (ধনবাড়ী), মাসুদ পারভেজ (মধুপুর), জামিলুর রহমান মিরন (টাঙ্গাইল সদর), মাসুদুল হক (ভূঞাপুর), শাহাদাৎ হোসেন (মির্জাপুর), আবু হানিফ আজাদ (সখীপুর),  রকিবুল হক ছানা (গোপালপুর), মো. রুকুনুজ্জামান (সরিষাবাড়ী), মির্জা সাখায়াতুল আলম মনি (জামালপুর সদর), আবদুল কাদের শেখ (ইসলামপুর), শাহনেওয়াজ শাহেনশাহ (দেওয়ানগঞ্জ), শফিক জাহেদী রবিন (মেলান্দহ), হাফিজুর রহমান (নকলা), আবু বকর সিদ্দিক (নালিতাবাড়ী), গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া (শেরপুর সদর), আবু সাঈদ (শ্রীবরদী), সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (গৌরীপুর), এ কে এম মেজবাহউদ্দিন কাইয়ুম (ভালুকা), ইকবাল হোসেন সুমন (গফরগাঁও), রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া (নান্দাইল), গোলাম কিবরিয়া (ফুলবাড়িয়া), লতিফুর রহমান রতন (মোহনগঞ্জ), নজরুল ইসলাম খান (নেত্রকোনা সদর), আবদুস ছালাম (দুর্গাপুর), আসাদুল হক (কেন্দুয়া), আবু হাসান কাজল (কুলিয়ারচর), পারভেজ মিয়া (কিশোরগঞ্জ সদর), আবদুল কাইয়ুম (হোসেনপুর), আনোয়ার হোসেন (বাজিতপুর), ফখরুল আলম আক্কাছ (ভৈরব), শওকত ওসমান (কটিয়াদী), এ বি এম গোলাম কিবরিয়া (বেতাগী), আনোয়ার হোসেন আকন্দ (পাথরঘাটা), বিপুল চন্দ্র হাওলাদার (কলাপাড়া), আবদুল বারেক মোল্লা (কুয়াকাটা), রফিকুল ইসলাম (বোরহানউদ্দিন), জাকির হোসেন তালুকদার (দৌলতখান), মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (ভোলা সদর), শফিকুজ্জামান রুবেল (মুলাদী), হারিছুর রহমান (গৌরনদী), কামাল উদ্দিন খান (মেহেন্দীগঞ্জ), সুভাষ চন্দ্র শীল (বানারীপাড়া), লোকমান হোসেন ডাকুয়া (বাকেরগঞ্জ), গিয়াস উদ্দিন বেপারী (উজিরপুর), তছলিম উদ্দিন চৌধুরী (নলছিটি), এনামুল হক (মিরপুর), আনোয়ার আলী (কুষ্টিয়া সদর), শামসুজ্জামান অরুণ (কুমারখালী), তারিকুল ইসলাম (খোকসা), সেলিম জাহাঙ্গীর (পাইকগাছা), সনৎ কুমার বিশ্বাস (চালনা), শামিমুল ইসলাম ছানা (ভেড়ামারা), হাসান কাদির গনু (আলমডাঙ্গা), মতিয়ার রহমান (দর্শনা), আশরাফুল আজম (শৈলকুপা), শাহিনুর রহমান (হরিণাকুণ্ডু), আব্দুর রশিদ (মহেশপুর), নুর উদ্দিন আল-মামুন (চৌগাছা), জহিরুল ইসলাম চাকলাদার (যশোর সদর), সুশান্ত কুমার দাস (নওয়াপাড়া), কামরুজ্জামান বাচ্চু (বাঘারপাড়া), কাজী মাহমুদুল হাসান (মণিরামপুর), রফিকুল ইসলাম (কেশবপুর), খুরশিদ হায়দার টুটুল (মাগুরা সদর), জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস (নড়াইল সদর), মনিরুল হক (মোরেলগঞ্জ), গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর (আক্কেলপুর), খন্দকার হালিমুল আলম জন (কালাই), আব্দুস সাত্তার (শেরপুর), আলমগীর শাহী (সারিয়াকান্দি), হেলাল উদ্দিন কবিরাজ (কাহালু), তৌহিদুর রহমান মানিক (শিবগঞ্জ), আবদুর রশিদ (নাচোল), রেজাউল কবির চৌধুরী (নজিরপুর), আব্দুল মজিদ (কাঁকনহাট), মনিরুল  ইসলাম বাবুল (গোদাগাড়ী), গোলাম রাব্বানী (মুণ্ডুমালা), মুক্তার আলী (আড়ানী), আবুল কালাম আজাদ (তাহেরপুর), আব্দুল মালেক মণ্ডল (ভবানীগঞ্জ), আব্বাস আলী (কাটাখালী), তোফাজ্জল হোসেন (চারঘাট), শহিদুজ্জামান শহীদ (কেশরহাট), সফির উদ্দিন মণ্ডল (নলডাঙ্গা), শাহনেওয়াজ আলী (গুরুদাসপুর), জান্নাতুল ফেরদৌস (সিংড়া), আব্দুল বারেক সরকার (বড়াইগ্রাম), উমা চৌধুরী (নাটোর সদর), হালিমুল হক মীরু (শাহজাদপুর), সৈয়দ আবদুর রউফ মুক্তা (সিরাজগঞ্জ সদর), নজরুল ইসলাম (উল্লাপাড়া), আব্দুল্লাহ আল পাঠান (রায়গঞ্জ), বেগম আশানুর বিশ্বাস (বেলকুচি), হাজী নিজাম উদ্দিন (কাজীপুর), মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক (সাঁথিয়া), আব্দুর ওহাব (সুজানগর), খন্দার মো. কামরুজ্জামান (ফরিদপুর-পাবনা), গোলাম হাসনাইন (ভাঙ্গুরা), আবুল কালাম আজাদ মিন্টু (ঈশ্বরদী), আলমগীর সরকার (রানীশংকৈল), এন এ এম জামিল হোসেন চলন্ত (হাকিমপুর), শমসের আলী (পাটগ্রাম), উত্তম কুমার সাহা (লালমনিরহাট সদর), আবদুল জলিল (কুড়িগ্রাম সদর) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (সুন্দরগঞ্জ), মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির (গাইবান্ধা সদর), আতাউর রহমান (গোবিন্দগঞ্জ) ও কসিরুল আলম (ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ)। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত : মোহাম্মদ উল্লাহ (চাটখিল), আহম্মদ হোসেন মীর্জা (টুঙ্গিপাড়া), হাবিবুর রহমান মালেক (পিরোজপুর), মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির (মাদারগঞ্জ), হাজী আলাউদ্দিন (ফেনী) ও নিজামউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী সাজেল (পরশুরাম)। আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ : নিজাম উদ্দিন (কানাইঘাট), সিরাজুল ইসলাম (গোলাপগঞ্জ), শফি আলম ইউনুস (কুলাউড়া), মোজাফফর হোসেন বাবলু (বোয়ালমারী), সাদেকুর রহমান (সোনারগাঁ), আবদুস সাত্তার (ময়মনসিংহ-ঈশ্বরগঞ্জ), এ বি এম আনিসুজ্জামান (ত্রিশাল), আব্দুল হান্নান তালুকদার (মদন), আবদুল কাইয়ুম (করিমগঞ্জ), শাহাদাত হোসেন (বরগুনা সদর), আশরাফুল ইসলাম (গাংনী), ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু (চুয়াডাঙ্গা সদর), মুশফিকুর রহমান (কালিয়া), কারিবুল হক রাজিন (চাঁপাই-শিবগঞ্জ), এ জি এম বাদশা (ধুনট), রেজাউল করিম দুলাল (চাটমোহর), লিয়াকত আলী টুটুল (বিরামপুর)। বিএনপি :  কুমিল্লায় জসিম উদ্দিন (বরুড়া), হবিগঞ্জে ছাবির আহমেদ চৌধুরী (নবীগঞ্জ), জি কে গউছ (হবিগঞ্জ সদর), মো. নাজিম উদ্দিন (চুনারুঘাট), টাঙ্গাইলে আলী আকবর (কালিহাতী), শহীদুল ইসলাম (মুক্তাগাছা), ময়মনসিংহে আমিনুল হক (ফুলপুর), আকতারুল ইসলাম (কলারোয়া), তাসকিন আহমেদ চিশতী (সাতক্ষীরা সদর), সাইফুল ইসলাম (গাবতলী) ও তোফাজ্জল হোসেন (সান্তাহার), তারিক আহমেদ (রহনপুর), রাজশাহীর মিজানুর রহমান (তানোর), জাকিরুল ইসলাম (চারঘাট), আসাদুল হক (পুঠিয়া), শেখ মো. মকবুল হোসেন (নওহাটা), নজরুল ইসলাম (গোপালপুর), জাহাঙ্গীর আলম (দিনাজপুর সদর), তোহিদুল ইসলাম (পঞ্চগড় সদর), ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী (জলঢাকা), নজমুল হক সনি (নওগাঁ সদর)। এ কে এম মাহবুবুর রহমান (বগুড়া সদর)। এ ছাড়া বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে কামরুল হাসান সিদ্দিকী নামে বিএনপির একজন বিদ্রোহী মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন। জামায়াত : মো. হানিফ (বীরগঞ্জ), নজরুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর)। জাতীয় পার্টি : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে আবদুর রহমান মিয়া নামে একজন জাতীয় পার্টি থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। স্বতন্ত্র : রফিকুল ইসলাম (খাগড়াছড়ি সদর), শেখ মো. মিজান (গোয়ালন্দ), কামরুল হুদা (মানিকগঞ্জ সদর), জাহাঙ্গীর আলম (জীবননগর), জাহিদুল ইসলাম স্বপন (কোটচাঁদপুর), মর্তুজা সরকার মানিক (ফুলবাড়ী) ও কামরুল হাসান মিন্টু (পাবনা সদর)। ভোটগ্রহণ স্থগিত : নোয়াখালীর চৌমুহনী, রাঙামাটি সদর, নরসিংদীর মাধবদী, ঠাকুরগাঁও সদর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও কুড়িগ্রামের উলিপুর

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.