প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমেছে

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫

chld1450530681ঢাকা জার্নাল: প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন সূচকে গত ১৬ বছরে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিলনায়তনে শনিবার বেসরকারি সংস্থা ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’—এর গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে করা ‘এডুকেশন ওয়াচ-২০১৫’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের গবেষক সমীর রঞ্জন নাথ।

প্রতিবেদনে ১৯৯৮ সাল থেকে করা গণসাক্ষরতা অভিযানের আগের প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে বর্তমান প্রতিবেদনের একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণও তুলে ধরা হয়। গত ১৬ বছরে বিদ্যালয়ে গমন-উপযোগী শিশুদের ভর্তির হার যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তের হারও। বেড়েছে শিক্ষার্থীদের শেখার যোগ্যতা। কমেছে ঝরে পড়ার হার। লৈঙ্গিক সমতাও হয়েছে। প্রাথমিকে শিক্ষকদের যোগ্যতাও বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ২০১৪ সালে ৭৪.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সার্বিকভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এক শ্রেণি থেকে আরেক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার হার বেড়েছে। ১৯৯৮ সালে এই হার ছিল ৮৬.৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে এসে তা হয়েছে ৯২ শতাংশ। বর্তমানে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার প্রায় ২০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে বলে দেখানো হয়। নিট ভর্তির হার ১৯৯৮ সালে ছিল ৭৭ শতাংশ, ২০১৩ সালে এসে দাঁড়ায় ৯৪.৫ শতাংশ।

গবেষক সমীর রঞ্জন নাথ বলেন, এই প্রবণতা চলতে থাকলে ২০১৯ সালে গিয়ে শতভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।

শিক্ষকদের যোগ্যতা উন্নতির চিত্র তুলে ধরে বলা হয়। ১৯৯৮ সালে যেখানে ৪৮.৩ শতাংশ শিক্ষকের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রি ছিল, ২০১৪ সালে তা ৫৭.২ শতাংশ হয়েছে। তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই হার ৬৬.৯ শতাংশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬৩.৪ শতাংশ নারী শিক্ষক রয়েছে। ১৬ বছর আগে এই হার ছিল ৩২ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাসের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, কত ভাগ শিক্ষক কর্তব্যে অবহেলা করছেন, তার গবেষণা হওয়া উচিত।

গণসাক্ষরতা অভিযানের চেয়ারপারসন কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ডিএফআইডির বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্যারোলাইন সানারস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.