সুন্দরের ১০টা সুন্দর কথা

ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫

24 এই শতাব্দীতে আপনার মাথা, বই, সবকিছুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ওই নামটা। গুগল। আপনার মাথা তবু ধরে। যন্ত্রণা হয়। কিন্তু গুগলের না তো মাথা ধরে, না তো হেডেক! তো সেই গুগলের সিইও। তাও আবার ভারতীয়! আর তিনি রয়েছেন ভারতে। ভারতীয় ছাত্রদের সামনে। এমন অনুষ্ঠান ঠিক কল্পনায় আপনি যতটা ভালো ভাবতে পারেন, এদিন হলো তার থেকেও ভালো। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বললেন অনেক কথা। যেগুলো শোনা অবশ্যই দরকার। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন হর্ষ ভোগলে। সুন্দরের সুন্দর-সুন্দর কথাগুলো তুলে ধরা হলো নিচে।

১. হর্ষ ভোগলেকে দিব্যি বলে দিলেন, আসলে তিনি খুব-খুব ফুটবল ভক্ত! বার্সা আর মেসি তার ফেভারিট।২. সবসময় প্রযুক্তি বা টেকনোলজির ভক্ত ছিলাম। সবসময় এসব নিয়েই ভাবতাম। মনে হতো, এমন কিছুর সঙ্গে থাকব, যা মানবতার সম্পর্ককে ঠিক রাখবে।

৩. কল্পনায় থাকো। সেগুলোকে বাস্তবে পরিণত করার চেষ্টা করে যাও কল্পনাতেই।

৪. ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা বরাবরই খুব ভালো। এখানে ক্রিয়েটিভিটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় চিরকাল। ছাত্রদের শুধু শিখতে হবে, ঝুঁকি নেওয়া। বাকি সব ঠিকই আছে। শুধু কাঠামোটা এগোতে দিচ্ছে না।

৫. শুধু নিজে কিছু করব, এমন নয়। বরং, এমন কাজ করব, যাতে ১০০ কোটি মানুষ উপকার পায় প্রতি মুহূর্তে। গুগল যেটা অনবরত করে যাচ্ছে।

৬. আমরা খেয়াল করে দেখেছি, যা ভারতে ভালো চলে, তা পরে গোটা বিশ্বেই চলে। ইউটিউব অফলাইনে ব্যবহার করা আমরা ভারতেই শুরু করেছি। এখন বিশ্বের ৭৭ টা দেশে সেটাই চলছে।

৭. ছেলেবেলায় তো আর স্মার্ট ফোন ছিল না। তাই সমস্ত ফোন নাম্বার মুখস্থ রাখতাম। পাশের বাড়ির কাকিমাদেরও কোনো নাম্বার জানতে হলে, আমাকেই জিজ্ঞাসা করত!

৮. হর্ষ ভোগলে জিজ্ঞাসা করেন, কবে প্রথম ফোন কিনেছিলেন? সুন্দর পিচাই বলেন, ২০০৬ সালে। মোটোরোলা। প্রথম স্মার্ট ফোন।

৯. কটা স্মার্ট ফোন আছে আপনার? হর্ষর এই প্রশ্নের উত্তরে সুন্দর পিচাই হাসতে হাসতে বলেন, ২০-৩০ টা তো বটেই।

১০. আগামী ৩০ বছরে গুগলকে কোথায় দেখতে চান? সুন্দর বলেন, এখনও মানুষের অনেক সমস্যা রয়েছে গুগলকে নিয়ে। আমরা সেগুলোর উপরই কাজ করছি। ইচ্ছে, এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা।- সংবাদমাধ্যম

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.