দুর্নীতির অভিযোগ থেকে সাংসদ বদির মুক্তি!
নভেম্বর ২৩, ২০১৫ দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি (অব্যাহতি) পেয়েছেন কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। তবে এ মুক্তি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে নয়। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে মুক্তির প্রশ্নই আসে না।টেকনাফ পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বদি। ২০০৪ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দুদকে ফাইলবন্দি ছিল।
সম্প্রতি কমিশন থেকে ওই অভিযোগ নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দুদকের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বদি টেকনাফ পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে পৌরসভার রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একই অভিযোগ ছিল টেকনাফ পৌরসভার প্রকৌশলী লতিফুর রহমান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ইসমাইলের বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। দীর্ঘদিন অভিযোগটি ফাইলচাপা থাকার পর কমিশন থেকে পুনরায় দুদকের চট্টগ্রাম-২-এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগটি নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তির করা সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর ফলে ওই অভিযোগ থেকে তারা অব্যাহতি পেয়েছেন।
আবদুর রহমান বদি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন।
বর্তমানে বদির বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। যেখানে অভিযোগ রয়েছে, বদি দুদকের কাছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
হলফনামায় তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপর ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট সাংসদ বদির বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সোবহান মামলা করেন। এর প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৭ মে দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।