সংসদে বিল পাস মেয়র প্রার্থীরাই দলীয় প্রতীক পাবেন

নভেম্বর ১৯, ২০১৫

10রাজনৈতিক দলের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) বিল-২০১৫ পাস হয়েছে। পাস হওয়া বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী পৌরসভার মেয়র প্রার্থীরা নিজ নিজ দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাবেন। আর কাউন্সির প্রার্থীদের আগের মতোই প্রতীক বরাদ্দ নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। যদিও বিলটিতে একাধিক সদস্য জনমত যাচাই ও বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন এবং এ প্রসঙ্গে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। পরে অবশ্য মন্ত্রী তাদের সেই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে তা বাতিল করার প্রস্তাব করেন।

এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জনমত যাচাই ও কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা নাকচ হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন স্পিকার। পরে সর্বসম্মক্রমে বিলটি পাস হয়।

বিলটিতে জনমত যাচাই ও কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব দেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, সেলিম উদ্দিন, পীর ফজলুর রহমান, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও হাজি মো. সেলিম।

বিলটি পাসের আগে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার বিধান যুক্ত করতে সংশোধনী প্রস্তাব জমা দেন সরকারের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্যরা। পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, অ্যাডভোটেক মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও টিপু সুলতান পৃথকভাবে এ সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে সরকারি দলের সদস্যদের উত্থাপিত কয়েকটি সশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, সংসদে পাস হওয়া বিলটি রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে তা আইনে পরিণত হবে। এরপর গত ২ নভেম্বর পৌর আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশ বাতিল হয়ে যাবে। গত ১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত এই বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। গত বুধবার বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয় সংসদীয় কমিটি।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি নির্বাচনই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এসব নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও বাস্তবে প্রতিটি দলই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দলীয় ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়ে থাকে। এ প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন থেকে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার পালনের সুযোগ দিতে এই বিল আনা হয়েছে।

নভেম্বর ১৯, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.