08কয়েকদিন ঠান্ডা থাকার পরই ফের গরম দক্ষিণ চিন সাগর। এ বার মার্কিন বোমারু বিমান হানা দিল চিনের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপের কাছে। লাল ফৌজ আবার চ্যালেঞ্জ করল আমেরিকার বি-৫২ জেটগুলিকে। কিন্তু পেন্টাগন কোনও হুঁশিয়ারিকেই পাত্তা দিচ্ছে না। সমুদ্রের ওই অঞ্চলে আবার যাবে মার্কিন বোমারু বিমান। জানিয়েছে আমেরিকা। পেন্টাগন সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার ও সোমবার রাতে অত্যাধুনিক বোমারু বিমান বি-৫২ টহল দিয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরের আকাশে। তবে তা নতুন কিছু নয় বলে ওবামা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, আমেরিকার যুদ্ধবিমান নিয়মিত ওই অ়ঞ্চলে টহল দেয়। গুয়ামের একটি বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে চিন সাগরে টহল দিয়ে যুদ্ধবিমানগুলি আবার গুয়ামেই ফিরে যায়। আন্তর্জাতিক জলপথে রুটিন নজরদারি চালানোর অঙ্গ হিসেবেই মার্কিন বোমারু বিমানের এই উড়ান, জানিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু, ৮ ও ৯ নভেম্বর রাতে চিনের তৈরি কৃত্রিম দ্বীপের কাছে যেতেই মার্কিন বিমানগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে চিনা সেনা। তাতে অবশ্য উড়ান ফিরিয়ে নেয়নি মার্কিন বাহিনী। বি-৫২-র হানাদারি জারি থাকে। কিন্তু, চিনের এই চ্যালেঞ্জ অস্বাভাবিক ঠেকেছে আমেরিকার কাছে। তাই পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বিবৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দক্ষিণ চিন সাগরের আকাশসীমায় সারা বছরই মার্কিন বি-৫২ যুদ্ধবিমান নজরদারি চালায়। এটি রুটিন নজরদারি। কারও হুঁশিয়ারিতে ওই অ়ঞ্চলে আমেরিকার নজরদারি বন্ধ হবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

রণতরী ইউএসএস লাসেন পাঠিয়ে অক্টোবরেই দক্ষিণ চিন সাগরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে দিয়েছিল পেন্টাগন। চিন মাঝ সাগরে যে কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়েছে, তাকে কিছুতেই চিনের জলসীমা হিসেবে মান্যতা দিতে রাজি নয় আমেরিকা। তাই ওই অঞ্চলকে আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে প্রমাণ করতেই রণতরী পাঠানো হয়। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলেছে প্রবল। বাগযুদ্ধ পৌঁছেছিল চরমে। এ বার মার্কিন টহলদারি শুরু হল আকাশে। জলসীমার পর দক্ষিণ চিন সাগরের আকাশসীমায় চিনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে শুরু করলেন ওবামা।