যে কারণে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা হলো

নভেম্বর ১২, ২০১৫

07 দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নিয়োগ বন্ধের কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, মেধাবী শিক্ষকদের তুলে আনার জন্যই নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির পর শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য আমরা একটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে শিক্ষার গুণগতমান ও মেধার ভিক্তিতেই মেধাবী শিক্ষকদের তুলে আনা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এটা করা না গেলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যাবে না। তাই আমাদের এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে এবং মেধা তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার করে দেবে। আর এ মেধাক্রম অনুযায়ীই শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তবে এই জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ এবং প্রত্যয়ন বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। যার কারণে বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নতুন পদ্ধতি নিয়ে একটি পরিপত্রও জারি করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ থেকে জানা যায়, বুধবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ জারি করা হলেও তা কার্যকর হবে ২২ অক্টোবর থেকেই। ফলে ২২ অক্টোবর বা এর পরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের নিয়োগ অবৈধ বিবেচিত হবে।
তবে ২২ অক্টোবর এর পূর্বের নিয়োগ কার্যক্রম আগের নিয়মেই সম্পন্ন করা যাবে।
এছাড়া ২২ অক্টোবরের পূর্বে বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। আগের নিয়ম অনুযায়ী তাদের এমপিওভুক্তি হবে বলে জানা গেছে।

১২ নভেম্বর ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.