“হটাও পতিত স্বৈরাচার, রুখো নব্য স্বৈরাচার”
নভেম্বর ১০, ২০১৫
স্বৈরাচার বিরোধী শহীদ নূর হোসেন ও সৈয়দ
আমিনুল হুদা টিটো’র প্রতি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের শ্রদ্ধাঞ্জলি। আজ বাংলাদেশ গণতন্ত্র পুর্ন উদ্ধার আন্দোলনে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণ-আন্দোলন বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক-স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা সেøাগান নিয়ে বিক্ষোভ করেন নূর হোসেন। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হন শহীদ নূর হোসেন এই দিনে। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নীঝরা দিন, চলছে অবরোধ। গণমানুষের মুক্তিআন্দোলন, গণতন্ত্র পুর্নউদ্ধার আন্দোলনে যোগ দিতে ৯ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে আসেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি ও ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটো। স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলে স্বৈরাচারীদের লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর হাতে শহীদ হন সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটো। পরবর্তীতে সামরিক স্বৈরাচার বাহিনীরা তাঁর লাশটাও গুম করে ফেলে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আজ ১০ নভেম্বর ২০১৫ সকালে শহীদ নূর হোসেন চত্ত্বরে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি অফিস মুক্তি ভবনে অস্থায়ী বেদিতে পুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার, সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ, সহ-সভাপতি লিটন নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সেন গুপ্ত প্রমুখ।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন ও সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটো’র চেতনার আন্দোলন আজও চলমান। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের চেতনা ছিল বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পর যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে তারা শহীদ নূর হোসেন ও আমিনুল হুদা টিটো’র চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছেন এবং গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক করণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই গণতন্ত্রের মুখোশে নির্বাচিত স্বৈরশাষক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়েছে। নির্বাচনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিনষ্ট করেছে শাসকগোষ্ঠী। আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গনতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে গণতান্ত্রিক সমাজ রাষ্ট্র নির্মান অসম্ভব এবং স্বৈরাচার ও রাজাকারকে সাথে নিয়ে কখনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা সম্ভব।