গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে

নভেম্বর ৯, ২০১৫

04ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন নুর হোসেন, তার সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র চলছে এদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার, একতরফা নির্বাচন করে বেনামী একদলীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার গোপন চক্রান্ত এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নুর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরে পেতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।

শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার রুহের মাগফিরাতও কামনা করেছেন খালেদা।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেছেন, ৮০’র দশকে স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহে নুর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ অঙ্কিত স্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের বুকে-পিঠে উচ্চারিত শব্দমালা মুছে দিতে স্বৈরশাসকের বন্দুক বিদীর্ণ করেছিল নুর হোসেনের বুক-পিঠ। তার রক্তের ধারা বেয়েই ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো সেদিনের পতিত স্বৈরাচার বর্তমান বিনাভোটের সরকারেরই সহযোগী। এতে কি নুর হোসেনের আত্মা শান্তি পায়? নুর হোসেন আওয়ামী যুবলীগের কর্মী ছিলেন। নিজ দলের কর্মীর রক্তের সঙ্গে এটা কি প্রতারণা নয়?

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.