রাজবাড়ী, বেনাপোল ও মুন্সীগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩
নভেম্বর ৫, ২০১৫ ডেস্ক রিপোর্ট : রাজবাড়ী, বেনাপোল ও মুন্সীগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। বুধবার রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
রাজবাড়ীতে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একাধিক হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামি শাহীন ওরফে পিচ্চি শাহীন (৩০) নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুরে এই ঘটনা ঘটে। শাহীন সদরের খানখানাপুর এলাকার জয়নাল খানের ছেলে।
জেলা ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন জানান, মধ্যরাতে শাহীনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এ সময় শাহীন পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। বন্দুকযুদ্ধে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন। বন্দুকযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি শ্যুটারগান ও একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পিচ্চি শাহীনের বিরুদ্ধে আটটি হত্যা, চারটি অস্ত্র ও একটি পুলিশের ওপর হামলা মামলা রয়েছে।
এদিকে, বেনাপোল বন্দর থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন ওরফে সোহাগ মৃধা নিহত হয়েছেন। বন্দর থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেলে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় সীমান্তের শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াছ হোসেন। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালায়। রাতে একটি মোটরসাইকেলে করে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল ইলিয়াস। এ সময় ধাওয়া করলে ইলিয়াসের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়। এতে ইলিয়াসসহ তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইলিয়াসের মৃত্যু হয়।বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মোহাম্মদ সেন্টু ওরফে পিচ্চি সেন্টু নামের এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে টঙ্গিবাড়ীর আলিবাজার ঈদগাহ মার্কেটের সামনে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সেন্টু এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিল। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সেন্টু ও তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। এতে সেন্টু গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আলমগীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।