ক্ষমতায় এলে সুন্দরবনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

অক্টোবর ১৮, ২০১৫

07ঢাকা: প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এলে সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আশপাশে অবৈধ স্থাপনা এক নির্দেশে সরিয়ে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

রোববার দুপুরে রাজধানী পল্টনস্থ মুক্তিভবনের ‘সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা’ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রামপাল, ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিধ্বংসী সকল প্রকল্প বাতিল ও প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ রক্ষার দাবিতে সিপিবি-বাসদ’র উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সেলিম বলেন, ‘সুন্দরবনের মালিক জনগণ। এর পাশাপাশি এটি এখন বিশ্ব সভ্যতার অংশ। সবাই এই প্রাকৃতিক সম্পত্তির মালিক। সংবিধানে আছে জনগণ সব সম্পত্তির মালিক। মুনাফা লোভিদের কারণে সুন্দরবন ধ্বংস হলে এর ফল ভোগ করবে সাধারণ জনগণ। তাই জনগণের সম্মতি ছাড়া এর এক কাঠা জমি কাউকে দেয়ার ক্ষমতা নেই।’

তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের আশে পাশে জমিজমা কিনে লাভের আশায় বিনিয়োগ করে কোনো দল বা গোষ্ঠী বা কোম্পানির লাভ হবে না। তাদের আশা পূরণ হবে না। প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আশে পাশে অবৈধ স্থাপনা এক নির্দেশে সরিয়ে দেয়া হবে।’

মনজুরুল আহসান খান বলেন, ‘সন্দুরবন চলছে দখল। জাল দলিল দিয়ে জমি জমা কেনাবেচা চলছে। নামে বেনামে সরকার দলীয় লোকজন এই জমি কেনাবেচা করছেন।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন কপ-৩ অনুষ্ঠত হবে। এর পূর্বেই রামপাল ও ওরিয়নের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

একই সঙ্গে সন্দুরবন রক্ষার দাবিতে আগামী ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ বর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রামপালসহ সুন্দরবন বিধ্বংসীসকল প্রকল্প বাতিল ঘোষণা না করলে লংমার্চসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবি কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, জলি তালুকদার, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.