মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেছেন স্ত্রী-সন্তানরা

অক্টোবর ৯, ২০১৫

সর্বোচ্চ আদালতের সাজার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার জন্য আর এক সপ্তাহ সময় রয়েছেন যুদ্ধাপরাধী এই জামায়াত নেতার হাতে।

মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান, তিন ছেলে আলী আহমেদ তাজজীদ, আলী আহমেদ তাহকীক ও আলী আহমেদ মাবরুর এবং মেযে তামরীন শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টায় কারা ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।

আধা ঘণ্টা পর বেরিয়ে এসে মহিলা জামায়াতের শুরা সদস্য তামান্না বলেন, “আমার স্বামী অত্যন্ত সৎ।  আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং খালাস পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে আসবেন।

আদালত মুজাহিদকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ দিলেও তাকে ‘সম্পর্ণ নির্দোষ’ বলেন তার স্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে তামান্না বলেন, এটি ছিল তাদের নিয়মিত সাক্ষাৎ। গত মাসেও তারা এসেছিলেন।

আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার বিষয়টি আইনজীবীরা দেখছেন বলে জানান মুজাহিদের স্ত্রী।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেলসুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির  বলেন, “নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসেবে তারা এসেছিলেন।  পরিবারের পাঁচ সদস্য সকাল ১০টা ৫০থেকে  ১১টা ২০ পর্যন্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

আপিল বিভাগ গত ৩০ সেপ্টেম্বর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করলে পরদিন দুই আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ওই দিনই করা কর্তৃপক্ষ সাকা ও মুজাহিদকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনায়, শুরু হয় রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের দিন গণনা।

৬৭ বছর বয়সী মুজাহিদ নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ আবেদন করার জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন। রিভিউ নিষ্পত্তির আগে তার দণ্ড কার্যকর করা যাবে না।

কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানরত ৬৬ বছর বয়সী সাকা চৌধুরীর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম ও সময় প্রযোজ্য হবে। দুজনই ইতোমধ্যে রিভিউ আবেদন করার কথা আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন।

রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে সেই রায়ের অনুলিপি কারাগারে পাঠানো হবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করবে।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর গত ৩ অক্টোবর মুজাহিদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেন তার পাঁচ আইনজীবী। আর সাকা চৌধুরীর আইনজীবী কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন ৬ অক্টোবর।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ইতোমধ্যে বলেছেন, “আইন অনুযায়ী যেভাবে অগ্রসর হওয়ার কথা, আমরা সেভাবেই অগ্রসর হব।”

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.